নীলফামারীর ডিমলায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শাপলা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৮ই মার্চ) সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় গৃহবধূ শাপলাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে শাপলার সাথে বিয়ে হয় একই এলাকার ছপির উদ্দিনের পুত্র মোখলেছার রহমান (কালা)এর সাথে। মোখলেছার রহমান (কালা) বিভিন্ন বাজারে মাছ বিক্রি করে সংসার চালাত। তাদের সংসারে ২টি কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত এক বছর থেকে মোখলেছার রহমান (কালা) পাশ্ববর্তী এক স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ২লক্ষ টাকা আপোষ মিমাংশা করে একটি প্রভাবশালী মহল। কিন্তু কালা পুনরায় ওই স্কুল ছাত্রীটির সাথে আবারও যোগাযোগ কর। বিষয়টি জানতে পেরে বাধা দেয়ায় শাপলাকে স্বামীসহ তার বাড়ির লোকেরা লোহার রড় দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে বলে জানা যায়।
এসময় ঘটনাস্থলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে রাতে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাপলা বেগম বলেন, আমাকে হত্যা করে আমার স্বামী তার প্রেমিকা স্কুল ছাত্রীটিকে বিয়ে করতে চায়। গত ৯মাস আগে ২লক্ষ টাকা জড়িমানা দিয়েছ, আবারও এসব কেনো করছো এমনটা বলার কারনে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করাসহ শ্বাষরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে ও আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড দিয়ে আঘাত করেন।
এ ব্যাপারে শাপলার পিতা আশরাফ আলী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোখলেছার রহমান (কালা) এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেস্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয়নি।
মামলার বাদী আশরাফ আলী বলেন, বিয়ের সময় জামাতাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়াছিলাম। পরে বাড়ী করার জন্য ১০শতক জমি দুইজনের নামে লিখে দেই। আমি বাড়ী বাড়ী ফেরি করে সংসার চালাই। আমার মেয়েটা নির্যাতনের বিচার চাই আমি।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।