Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তজুমদ্দিনে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৩০, আটক ৯

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৭:৪৭ PM
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৭:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ভোলার তজুমদ্দিনে আওয়ামী লীগ ও এ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এপর্যন্ত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ১২০ জনকে আসামি করে মামলাও হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার চাঁচড়া ও সোনাপুর ইউনিয়নে ৮টি স্থানে এ সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত ৮টায় চাঁচড়া ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল দেওয়ান ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলালের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে অন্য ২টি নিয়ে যায় দুলালের সমর্থকেরা। এর জের ধরে চাঁচাড়া ও সোনাপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আনন্দ বাজার, চাঁচড়া ইউপি পরিষদের সামনে, মঙ্গল সিকদার উত্তর বাজার, সোনাপুর আনন্দ বাজার, চর জহিরউদ্দিনসহ ৮টি স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় এক পক্ষ অপর পক্ষের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ছালাউদ্দিন, রুবেল, নজরুল, আলমগীর মেম্বর, ভূট্টোসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন।

তজুমদ্দিন থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ জানান, ওসি (তদন্ত) আনোয়ারুল ইসলাম, এসআই জসিমউদ্দিন, আল আমিন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের নেতৃত্বে ৪টি টিম রাতভর চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি আরও জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে ভোলার ডিবির ইনসপেক্টর আ. সোবহানের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযানে অংশ নিয়ে শিবলু, সবুজ, সেলিম, আইয়ুব, জাহাঙ্গীর, মন্নান, ছলেমান, নিরব ও জসিমসহ ৯ জনকে আটক করে, যারা ফজলুল দেওয়ান ও মোশারেফ হোসেন দুলালের সমর্থক। এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক মানু মিয়া বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এদিকে, বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ থেকেও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

Bootstrap Image Preview