নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের শোক সভায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মেয়ে চেলসি ক্লিনটন।
টুইটারে পোস্ট করা ওই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণী চেলসিকে আক্রমণাত্মক কথা বলছেন। তার অভিযোগ, নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ ওই হামলার পেছনে চেলসির বক্তব্যেরও দায় রয়েছে।
বিল ক্লিনটন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের মেয়ে চেলসি ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে গুলি চালিয়ে অর্ধশত মানুষ হত্যার নিন্দা জানানোর পরই শুক্রবারের ওই শোক সভায় গিয়েছিলেন তিনি।
তার সঙ্গে ওই আচরণের ভিডিও দেখে লোকজন ঘটনাটির নিন্দা জানানোর পর ভিডিও পোস্টকারী টুইটার থেকে সেটি সরিয়ে নেন বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ভিডিওতে এক তরুণীকে চেলসিকে বলতে শোনা যায়, “তোমার মতো মানুষ এবং তোমরা যেসব কথা বিশ্বে ছড়িয়ে দাও তার ফলই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। “আমি তোমাকে জানাতে চাই এবং আমি চাই যে, তুমি গভীরভাবে এটা উপলব্ধি কর- তোমরা যেসব কথা বলো তার কারণে ৪৯ জন মানুষ মারা গেছে।” জবাবে চেলসি ক্লিনটনকে বলতে শোনা যায়, “আমি খুব দুঃখিত যে, তুমি এভাবে ভাবছ।”
তখন ক্যামেরার পেছন থেকে আরেক তরুণ শিক্ষার্থীকে চিত্কার করে বলতে শোনা যায়, “আমি খুব দুঃখিত যে, তুমি এভাবে ভাবছ -এই কথার মানে কী?” ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর টুইটারে পোস্টকারী সেটি সরিয়ে নিলেও চেলসি ক্লিনটনকে সমর্থন জানিয়ে এই ভিডিও আবার অনেকে নতুন করে পোস্ট করেন। চেলসি এ রকম তোপের মুখে পড়ার মতো কিছুই করেননি বলে মন্তব্য করেন তারা।
তবে সিএনএন বলছে, মিনেসোটার ডেমোক্রেট দলীয় কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমরকে নিয়ে সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের জেরে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন চেলসি ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রথম দুই মুসলিম নারীর একজন ইলহান ওমর সম্প্রতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণীতে ইসরাইলি লবির খুব বেশি প্রভাব রয়েছে।
তার প্রতিক্রিয়ায় চেলসি টুইট করেন, “দল নির্বিশেষে সব নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং পাবলিক ফিগারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা করা উচিত যে, তারা যেন ইহুদিবাদের বিপক্ষে না যান।”