নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে রক্তক্ষয়ী হামলায় ৫০ জন মুসলমান নিহত হয়েছেন। ফেসবুকে লাইভ করে এ হামলা চালান অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভুত সন্ত্রাসী ব্রেনটন হ্যারিসন ট্যারান্ট।
হামলার আগে ট্যারান্ট গান সিটি নামের একটি অস্ত্র বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান থেকে গত চার মাসে চারটি অস্ত্র কেনেন। এ অস্ত্রগুলো তিনি অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে কেনেন।
গান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড টিপ্পল স্থানীয় সময় সোমবার ক্রাইস্টচার্চে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান, ট্যারান্ট তার প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে গত চার মাসে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনেন। এসব অস্ত্র গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের মার্চে কিনেছেন ট্যারান্ট। তার কাছে লাইসেন্স ছিল। তার সম্পর্কে অস্বাভাবিক কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তার দোকান থেকে বিক্রি হওয়া অস্ত্র কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে করা প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন ডেভিড টিপ্পল।
ডেভিড টিপ্পল বলেন, ‘দুটি মসজিদে হামলায় সামরিক কায়দার আধা স্বয়ংক্রিয় (এমএসএসএ) আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র তার দোকান থেকে কেনা হয়নি। হামলায় ব্যবহৃত একটি অস্ত্রও আমি তার কাছে বিক্রি করিনি। আমি ভিডিও দেখেছি, রাইফেল দেখেছি। তবে আমি জানি এ অস্ত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমি যেটি ধারণা করছি, সে অনুসারে যদি এটির সিরিয়াল নম্বর হয়, তবে অস্ত্র গান সিটির সংশ্লিষ্ট কোনো দোকান থেকে সংগ্রহ করা হয়নি।’
গান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড টিপ্পলের মতে, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনের পরীক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশ বিভাগের। এমনকি ভবিষ্যতেও কেউ যদি একই ধরনের লাইসেন্স নিয়ে আসেন, তার কাছেও তিনি অস্ত্র বিক্রি করবেন। টিপ্পল বলেন, ‘গান সিটির কাছে অস্ত্র বিক্রির নথি আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পুলিশকে দিয়েছি।’
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর প্রথমে সন্ত্রাসী হামলা হয়। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়। দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহত হন। এর মধ্যে পাঁচ বাংলাদেশিও ছিলেন।