কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার ঘটনা কেন্দ্র করে পাক-ভারত সংঘাত বড় ধরনের লড়াইয়ে রূপ নিতে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে ভারত হুমকি দিয়েছিল যে, তারা পাকিস্তানে অন্তত ছয়টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে। ভারতের তিনগুণেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তান।
যেভাবে পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল, তাতে এটি পরিষ্কার যে, কাশ্মীর উপত্যকা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রয়েছে।
তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশের কথার লড়াই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু এ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে আভাস পাওয়া যায়নি।
তবে বেইজিং, ওয়াশিংটন ও লন্ডনের কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল পাক-ভারত। ২০০৮ সালের পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই সামরিক সংঘাতের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকির তথ্য পাকিস্তান সরকারের এক মন্ত্রী এবং ইসলামাবাদে একজন পশ্চিমা কূটনৈতিক আলাদাভাবে নিশ্চিত করেছেন। তবে কে কাকে এ হুমকি দিয়েছেন, সেই তথ্য জানা যায়নি।
কিন্তু ওই মন্ত্রী বলেন, লড়াইয়ের সময় দুই দেশের গোয়েন্দারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। এখনও রাখছে।
ভারতের যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব পাকিস্তান কয়েক গুণ জোরালোভাবে দেবে জানিয়ে ওই মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি- যদি আপনি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েন, আমরা তিনটি ছোড়ব। ভারত যা-ই করুক না কেন, আমরা তার তিনগুণ জবাব দেব।
এ বিষয়ে জানতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।