পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে কু-প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে ছোট ভাইকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী টিয়াখালী ইউনিয়নের বিবাহিত যুবক শাহীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এদিকে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০ টায় পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হাওলাদারের সহায়তায় অপহরণের ছয় ঘন্টা পরে টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যে টিয়াখালী গ্রামের বিল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে অপহরণকারী শাহীন হাওলাদার।
জানা যায়, উপজেলার ধানখালীর বিদ্যুত প্লান্টের ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন পল্লী স্বপ্নের ঠিকানার ৩৮/এ চার কক্ষের ঘরটিতে বসবাস করছেন ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর (মালা) পরিবার। বাবা নেই। মা ভাইবোন মিলে সাত জনের সংসার।
হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ১১ বছরের হৃদয় জানায়, শুক্রবার বিকাল চারটায় মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলো। এসময় আত্মীয়র পরিচয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে শাহীন তার সহযোগীকে নিয়ে হৃদয়কে হোন্ডায় তোলে। এরপরে ভয় দেখিয়ে টিয়াখালী নিয়ে আসে। অপহরণের পরে মোবাইলে হৃদয়ের আরেক বোন তানিয়াকে শাহীন জানায় তাকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। অথবা নবম শ্রেনীতে পড়া ছোট বোনকে (মালা) বিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় হৃদয়কে খুন করা হবে।
বড় বোন তানিয়া জানান, বর্তমানে হৃদয় এবং ছোট বোন মালাকে নিয়ে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ভিকটিম হৃদয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে।