শান্ত নীরব ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে মুসল্লিরা এসেছেন জুমার নামাজ পড়তে। এর মাঝে হঠাৎ করেই গুলি শুরু হয়ে যায়। রাইফেলের গুলি খেয়ে চোখের সামনে ঢলে পড়তে থাকেন একে একে মুসল্লীরা!
এই হামলায় যেসব ভাগ্যবান বেঁচে গেছেন, তাদের একজন নুর হামজা। বেঁচে ফিরে গণমাধ্যমে বলেছেন তার অভিজ্ঞতার কথা।
মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত নূর হামজা আশির দশকে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান। নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের কাছে তিনি বলেন, 'বৃষ্টির মতো গুলির মাঝে কোনোমতে আমিসহ কয়েকজন মসজিদ থেকে দৌঁড়ে বেরিয়ে আসি। আশ্রয় নেই মসজিদের বাইরের পার্কিং এরিয়ায়। কী হচ্ছে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। বের হওয়ার সময় মসজিদের প্রবেশ পথের সামনে দেখেছি মৃতদেহের স্তুপ!'
৫৪ বছর বয়সী হামজার কাপড়ে লেগে ছিল রক্তের দাগ। যদিও তিনি অক্ষত আছেন।
তিনি আরও বলেন, 'নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এটা একটি কালো দিন। একটা ভয়াবহ বিপর্যয়। আমি কল্পনাও করতে পারছি না যে, এই দেশে এমন কিছু ঘটতে পারে! আমি জানি, এই ঘটনার শক আমাকে অনেকদিন ভোগাবে। আশা করি, আমি শক্ত থাকতে পারব।'
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার দুপুরে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে অন্তত দুটি মসজিদে বন্দুক ধারীর হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ বাংলাদেশি রয়েছেন।