মসজিদে গুলি চালানো সেই যুবককে জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারী। এ হামলায় আহত হয়েছে আরো ৪৮ জন। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এ হামলা করে হামলাকারী। এ হামলাকে জঙ্গি হামলা বলে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম।

এদিকে একে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে নিউজিল্যান্ডে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন।

দেশটির সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে অন্তত ৫০টি গুলি করা হয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে মসজিদের ভেতর থেকে গোলাগুলির লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা হয়।

স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে যখন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন শুক্রবারের জুমার নামাজের প্রস্তুতি চলছিল।পার্শ্ববর্তী লিনউড মসজিদেও হামলায় নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একটি আধা স্বয়ংক্রীয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে অন্তত ৫০টি গুলি ছোড়েন ২৮ বছর বয়সী ব্রেনটন ট্যারেন্ট। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন থেকে এসেছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী তরুণ বলেন, আমি গুলির শব্দ শুনে যতটা সম্ভব দৌড়ে পালিয়েছি। এ সময় আমি অনবরত শুধু গুলির শব্দ শুনেছি।

হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ চার ব্যক্তিকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আটকের সময় তাদের একজন সুইসাইড ভেস্ট পরা অবস্থায় ছিলেন।

এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সারাবিশ্ব। হুমকির মুখে পড়েছে ‘শান্তির দেশ’ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের পরিচিতি। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও। মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর পুরো নিউজিল্যান্ডে উচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।

এদিকে, ডানেডিনে সন্ত্রাসীরা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শহরটিও ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ক্রইস্টচার্চে সকল ধরণের বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ।

হত্যাকাণ্ড ঘটনার আগে টুইটারে ৮৭ পাতার ইশতেহার আপলোড করেছেন হামলাকারী। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলার আভাস আগেই তিনি দিয়েছিলেন।