টাঙ্গাইলের সাবেক এমপি রানার ৬ মাসের জামিন

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় রানার জামিনের আদেশ দেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জানা যায়, কয়েক দফা চেষ্টার পর ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ফারুক হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন রানা। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে তা স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই বছরের ১৯ অক্টোবর আপিল বিভাগ জামিনের এ স্থগিতাদেশ চলমান রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। ওই আদেশ অনুযায়ী চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।পরে নতুন করে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন রানা। বিচারিক আদালতে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ফারুক হত্যা মামলায় এবং ৩০ সেপ্টেম্বর যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় আমানুর রহমান রানাকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে যাবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের  আদালত। ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০, ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিচার শুরু হয়। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

অপরদিকে,টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করলে তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ। পরে এ মামলায় গ্রেফতার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগ নেতা আমানুর রহমান খান রানার নাম বেড়িয়ে আসে।