Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইমরান খানের চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বেশি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৭:১১ PM
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৭:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মাসিক বেতনের চেয়ে এখন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বেশি।

বুধবার পাঞ্জাবে মন্ত্রীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর অবিশ্বাস্য এ কাণ্ডটি ঘটেছে।

বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে পাকিস্তানজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানান বিশ্লেষণ।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও সমালোচনা করছেন বিষয়টির।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মূল বেতন ১ লাখ ৭ হাজার ২৮০ টাকা। অতিথি আপ্যায়নের জন্য তিনি বাড়তি ৫০ হাজার টাকা পান। এডহক রিলিফ এলাউন্স হিসেবে পান ২১ হাজার ৪৫৬ টাকা। এর সঙ্গে বাড়তি দুটি এডহক এলাউন্স বরাদ্দ আছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য। এর একটি হল ১২ হাজার ১১০ টাকার আরকটি ১০ হাজার ৭২৮ টাকা। এ থেকে ৪ হাজার ৫৯৫ টাকা আয়কর দিতে হয় তাকে।

সবমিলিয়ে ইমরান খানের মাসিক বেতন হয় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৯ টাকা।

অন্যদিকে নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী পাঞ্জাবের সাধারণ মন্ত্রীদের বেতন হবে দুই লাখের কাছাকাছি।

আর মুখ্যমন্ত্রী ওসমান বাযদারের বেতন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বুধবার নতুন এ স্কেল ঘোষণার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে পাকিস্তানে।

পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত তিন বছরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আয় কমেছে। এমন তথ্যই প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডন। তবে প্রধানমন্ত্রীর আয় কমলেও বেড়েছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএলএন) সভাপতি শাহবাজ শরীফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সভাপতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা দলের সহ-সভাপতি আসিফ আলী জারদারির আয়।

ডনের ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খানের সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৫ সালে পাকিস্তানি টাকার মূল্য অনুযায়ী ৩.৫৬ কোটি টাকা ছিল। তবে ২০১৬ সালে তা কমে ১.২৯ কোটি হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সালে এই সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭ লাখে নেমে আসে। এই হিসেব অনুযায়ী গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ৩.০৯ কোটি টাকা। এদিকে ২০১৫ সালে ইসলামাবাদের আবাসিক ফ্ল্যাট বিক্রি করার জন্য ইমরান খানের আয় ১০ লাখ টাকার একটু বেশি ছিল। তাছাড়াও সে বছর বিদেশ থেকে তিনি ৯৮ লাখ টাকা পেয়েছিলেন। তবে ২০১৬ সালে তিনি বিদেশ থেকে ৭৪ লাখ টাকা পেলেও ব্যক্তিগত আয় কমে আসে।

অন্যদিকে, গত তিন বছর ধরে তার বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফের আয় ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে তার আয় ৭৬ লাখ টাকা ছিল, যা বেড়ে ২০১৭ সালে প্রায় এক কোটি টাকা পার হয়েছে। ২০১৫ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জরদারির আয় ছিল ১০.৫ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে এই আয় বেড়ে ১১.৪ কোটি টাকা এবং ২০১৭ সালে ১৩.৪ কোটি টাকা হয়। এছাড়া তার কাছে ৭,৭৪৮ একর জমি রয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পাকিস্তান সরকারের উপর প্রায় ৭৮.৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ধার রয়েছে। এর বিপরীতে পাকিস্তানের কাছে প্রায় ৮.২ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি মুদ্রা রয়েছে। এই পরিসংখ্যান পাকিস্তানের অর্থনীতির মূমুর্ষু অবস্থার দিকেই ইঙ্গিত করে।

Bootstrap Image Preview