Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বৈঠকের পর মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে উপাচার্যের পেছনে নুর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৬:৩৬ PM
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৭:০২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) নিয়ে চলমান পরিস্থিতির মধ্যে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও  প্রক্টর গোলাম রব্বানীর সাথে বৈঠক করেছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। বৈঠকের পর উপাচার্য কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসার সময় নুরকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। এ সময় তিনি কথা না বললেও উপাচার্যের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাও ছিলেন এ সময়।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে এ বৈঠক হয়। তবে কী নিয়ে বৈঠক হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

বৈঠক শেষে উপাচার্য আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের আবারো ১১ মার্চের ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেন এবং  শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

এরপর নুর তার দলবলসহ ওই স্থান ত্যাগ করেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

আর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবির বিষয়ে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘এখন কারোর দাবির প্রেক্ষিতে আবার নতুন করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া আইন সমর্থন করে না।’

এদিকে ডাকসু নির্বাচন পুনরায় আয়োজনের দাবিতে অনশন করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। রোকেয়া হলের সামনে বুধবার রাত থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন চার দফা দাবিতে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন আট শিক্ষার্থী। এদের একজন অনিন্দ্য মন্ডল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান হয়।

জনবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন বলেন, সদ্য নির্বাচিত ভিপি’র আচরণের কারণে আন্দোলন দানা বাঁধছে না। প্রথম দিন থেকে তিনি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রাখছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়।

নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে ২২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৩ জন। এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন

Bootstrap Image Preview