Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বব্যাপী যে চক্রান্ত ও আগ্রাসন চালায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৯:৩১ AM
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৯:৩১ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক নম্বর বিশ্বশক্তি হিসেবে গ্রেট ব্রিটেন অপসারিত হয় এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান এই ঘোষণা প্রথম প্রকাশ্যে দেন জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকির ওপর এটম বোমা নিক্ষেপ করে।

সাম্রাজ্যবাদীরা স্ট্যালিনকে ও সেই সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নকে গণহত্যাকারী, ক্রিমিনাল ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে তাদের প্রচারণা চালিয়ে গেলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অদৃষ্টপূর্ব গণহত্যার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশাল আকারের গণহত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় না।

অথচ জাপানে এটম বোমা নিক্ষেপ করে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যে লাখ লাখ নিরীহ নারী, পুরুষ, শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল। এ কাজ আমেরিকা এমন সময় করেছিল যখন ১৯৪৫ সালের মে মাসে ইউরোপে বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছিল এবং জুলাই মাসের দিকেই জাপান আত্মসমর্পণের দোরগোড়া দাঁড়িয়েছিল।

যেহেতু শুধু হিটলারই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বর্ণবাদী, এজন্য তারা এটম বোমা জার্মানিতে নিক্ষেপ না করে সেটা নিক্ষেপ করেছিল জাপানে। এভাবে নিষ্প্রয়োজনে এটম বোমা নিক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্ট্যালিন ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে হুমকি দিয়ে বোঝানো যে, যুদ্ধ শেষ হলেও পরবর্তী শান্তি চুক্তিতে আমেরিকার শক্তিকে তারা যেন হিসাবের মধ্যে রেখে আলাপ-আলোচনা করে।

সেই থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে নিজের সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের জন্য দেশে দেশে, বিশেষত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ওপর তাদের আক্রমণ শুরু করে। শুধু সামরিক নয়, অন্য সব উপায় অবলম্বন করেই তারা এ কাজ শুরু করে।

প্রেসিডেন্ট আইসেনহাওয়ারের কুখ্যাত বিদেশ সেক্রেটারি ডালেসের আমলে এই সাম্রাজ্যবাদী নীতি আইনে পরিণত অবস্থায় এসে দাঁড়ায়। তারা সিয়াটো, বাগদাদ চুক্তি, সেন্টো ইত্যাদির মাধ্যমে বেশ পরিকল্পিতভাবেই এক্ষেত্রে অগ্রসর হয়।

প্রথম থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে সরাসরি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে এলেও পরবর্তীকালে তারা এর সঙ্গে যুক্ত করে তাদের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ নীতি। গত শতাব্দীর ৯০-এর দশক থেকেই এর শুরু।

এর জন্য প্রথমে তারা আফগানিস্তানে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বিন লাদেনকে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা হিসেবে খাড়া করে। পরে তারা তৈরি করে তালেবানদের। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নকে আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে বাধ্য করার পর বিন লাদেন এবং আফগানিস্তানে তালেবান শাসকদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটে নানা কারণে, যার বর্ণনা এক্ষেত্রে নিষ্প্রয়োজন।

প্রথম দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুড়ো বুশ এবং পরে বিল ক্লিনটনের আমলে তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ খাড়া করে। প্রেসিডেন্ট জি ডব্লিউ বুশের সময় থেকে তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ‘সন্ত্রাস বিরোধিতার’ নামে বেশ জোরেশোরে শুরু করে।

বুশ প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই এই ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করেন। সেই হিসেবে তারা নিজেরা সৌদি আরবের কিছু সন্ত্রাসীর সঙ্গে যোগসাজশ করে নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার এবং ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের হেডকোয়ার্টার পেন্টাগনে বিমান আক্রমণের চক্রান্ত করে তা কার্যকর করে।

ব্যাপক সাম্রাজ্যবাদী প্রচারণার মাধ্যমে এর জন্য তারা বিন লাদেনকে দায়ী করেন এমন সময় যখন লাদেন আফগানিস্তানের এক গুহায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নভাবে আত্মগোপন অবস্থায় ছিলেন।

সেই অবস্থায় থেকে কোনো ব্যক্তি যে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে বিমান হামলা পরিচালনার চক্রান্ত ও তা কার্যকর করতে পারে এর থেকে অসম্ভব ও হাস্যকর আর কিছুই হতে পারে না। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বজোড়া প্রচারণার এমনই শক্তি যে, সারা বিশ্ব এই আক্রমণের জন্য এখনও লাদেনকেই দায়ী করে থাকে।

প্রেসিডেন্ট বুশের আমলে মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চলে একের পর এক অনেক সন্ত্রাসী সংগঠন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইরাক দখলের পর তারা সাদ্দামের ছত্রভঙ্গ সেনাবাহিনীর একাংশকে এ কাজে ব্যবহার করে, যারা বাগদাদি নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে তাদেরকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করে।

এর ফলে বাগদাদির নেতৃত্বাধীন আইএস তাদের প্রভাব শুধু বৃদ্ধি করে তাই নয়, তারা ইরাক ও সিরিয়ার একটা বড় অংশ নিজেদের দখলে আনে এবং শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

সেই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের এক প্রকার দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং বুশ সরকার বাগদাদিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে তাদের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ যুদ্ধ শুরু করেন। এ সময় ‘সন্ত্রাস বিরোধিতা’ পরিণত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতিতে।

কিন্তু শুধু এ ধরনের বিরাট সন্ত্রাসী সংগঠনই নয়, পাকিস্তানের জইশ-ই-মোহাম্মদ ইত্যাদি সন্ত্রাসী সংগঠনও তারা এভাবে গঠন করে। লক্ষ করার বিষয় যে, একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন খাড়া করে চলে এবং একইসঙ্গে তাদের সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক পরিকল্পনা কার্যকর করতে থাকে। আসলে তাদের এই ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ নীতির মূল লক্ষ্য হল সন্ত্রাস বিরোধিতার নামে বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপের অজুহাত তৈরি করা।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ যুদ্ধে সব থেকে উল্লেখযোগ্য শরিক হল নিকৃষ্টতম সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ইসরাইল। এই রাষ্ট্রটিকেও তারা এক সূদুরপ্রসারী নীতির আওতাতেই সৃষ্টি করে ১৯৪৮ সালে। ইসরাইলের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিষয়টি এতই পরিচিত যে, এর ওপর কোনো বিশদ আলোচনার প্রয়োজন নেই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অবরোধ’ নীতি তাদের সন্ত্রাসী নীতির এখন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও বামপন্থী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে এ ধরনের আক্রমণের দৃষ্টান্তের অভাব নেই। সামরিক আক্রমণ ছাড়াও এই অবরোধ তারা কার্যকর করছে ইরান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে। এর অন্য উদাহরণেরও অভাব নেই, যা ল্যাটিন আমেরিকায় এখন প্রায় সর্বত্র দেখা যাচ্ছে।

মাার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ নীতির মূল লক্ষ্য হল, সামরিক ঘেরাও ছাড়া মূলত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তারা নির্দিষ্ট দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে।

তাদের বৈদেশিক উপার্জনে বাধা সৃষ্টি করছে এবং খাদ্য আমদানি ইত্যাদি বন্ধ করে এমন সংকট সৃষ্টি করছে, যাতে অভ্যন্তরীণভাবে এসব দেশের জনগণ সরকারবিরোধী হয়ে ওঠে। তাদের এই সরকার বিরোধিতাকে ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি দেশে তাদের এজেন্টদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিক দিয়ে এ মুহূর্তে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল, ভেনিজুয়েলা, ইরান, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। তারা খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার মতো শক্তি পর্যন্ত অর্জন করেছে। এ জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসতে ইচ্ছুক।

কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য হল, উত্তর কোরিয়াকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বাধ্য করা। এ জন্য তারা ব্যাপকভাবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ সৃষ্টি করে তাদের অর্থনীতির প্রভূত ক্ষতি করছে। অবরোধ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়াও তাদের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত রাখতে সম্মত।

কিন্তু অসুবিধা দাঁড়িয়েছে- কে এ কাজে প্রথম পদক্ষেপ নেবে। উত্তর কোরিয়ার বক্তব্য হল, প্রথমে অবরোধ তুলতে হবে, তারপর তারা পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি হল, আগে উত্তর কোরিয়াকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করে সব রকম পদক্ষেপ নিতে হবে, তারপর তারা অবরোধ তুলবে।

এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বৈঠক ভেস্তে গেছে। ট্রাম্পের চালাকি হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি বর্জন করার পর ইচ্ছামতো অবরোধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

কিন্তু ট্রাম্পের ভণ্ডামি ধরে ফেলার মতো বুদ্ধি উত্তর কোরিয়ার আছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করে তাদের সব স্থাপনা ভেঙে না ফেললে তাদের কোনো অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই! অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন তাদের হাতে! অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদের হাতে!!

ভেনিজুয়েলায় তেলের মজুদ সৌদি আরবের থেকে বেশি। কাজেই তেল রফতানি করেই তারা দেশের জনগণের সমৃদ্ধি এবং নিজেদের রাষ্ট্রের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন আমেরিকা ভেনিজুয়েলায় অবরোধ চাপিয়ে রেখে তাদের তেল রফতানি অসম্ভব করে তুলেছে। যেসব দেশ ভেনিজুয়েলা থেকে তেল কিনত তারা আর তেল কিনতে পারছে না।

এর ফলে সেদেশে এক ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্য, ওষুধ ইত্যাদির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে জনগণের একটা বড় অংশ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন তাদের এক তাঁবেদারকে সেখানে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইরানের ক্ষেত্রে তারা অবরোধ দিয়েছেন।

কিন্তু বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ সে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইরানের তেল কিনতে থাকায় আগের থেকে অবস্থা খারাপ হলেও ভেনিজুয়েলার মতো সংকট সেখানে তৈরি হয়নি।

সৌদি আরব এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী হিসেবে একটি বিপজ্জনক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাদের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এখন সেখানে বাদশাহর থেকেও বেশি প্রভাবশালী এবং মার্কিনের পরম মিত্র।

তাকে দিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের যুদ্ধ শুরু করেছে এবং তাদের সন্ত্রাসী বোমা হামলায় সেখানে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু নিহত হচ্ছে। তাছাড়া সেখানে চরম খাদ্যাভাব ও দুর্ভিক্ষ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী তৎপরতা কতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে, তার কোনো হিসাব নেই। কাশ্মীরে সম্প্রতি জইশ-ই-মোহাম্মদ যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে, তার পেছনেও মার্কিন-পাকিস্তানি-ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর যোগাযোগের বিষয়টিও খারিজ করার নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে খারাপ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ও তাকে সময়মতো ব্যবহার করা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নীতির এক বড় দিক।

বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

Bootstrap Image Preview