শিশু ধর্ষণে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন সেই বৃদ্ধ

নীলফামারীর ডিমলায় শিশুছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষক সেরাজুল ইসলাম (৬০)।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকালে নীলফামারীর আমলী আদালত-৬ এর বিচারক সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানার আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন সেরাজুল ইসলাম। বাবা-মা বাড়িতে রেখে ক্ষেতে কাজ করতে গেলে শিশু কন্যাটি বাড়ির পাশে খেলার সময় একই এলাকার সেরাজুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করে।

সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা-মা বাড়িতে ফিরে শিশুটিকে কান্না করতে ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখতে পায়। ছাত্রীটির মুখে বিস্তারিত জেনে রাতেই শিশুটিকে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। ছাত্রীটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সে রাতেই ছাত্রীটিকে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনার পরেরদিন এলাকাবাসী ধর্ষক সেরাজুলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ছাত্রীটিকে ধর্ষণের নমুনা পাওয়া গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার এসআই মাহাবুব রহমান বলেন, ডিমলা থানায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ধর্ষক সেরাজুল ইসলাম পুলিশের নিকট প্রথমে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি ও পরবর্তীতে আদালতের বিচারকের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।