Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি করেছিল তারা

জাকির হোসেন বাদশা, মতলব উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০৫:৩০ PM
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০৫:৩০ PM

bdmorning Image Preview


চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় ৫২ দিন পর ৩ ডাকাতকে আটক করে থানা পুলিশ। আটককৃতরা চাঁদপুর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এ দিকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এখনও।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আদালতে আটক ৩ ডাকাত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মতলব উত্তর থানাধীন আনন্দবাজার-ঘাসিরচর পাকা সড়কে গত ১৮ জানুয়ারি ভোর রাতে একটি লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনার রহস্য দীর্ঘ প্রায় ৫২ দিন পর উদঘাটন করেছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি দিবাগত ভোর রাত আনমানিক ৪টার দিকে মতলব উত্তর থানাধীন আনন্দবাজার-ঘাসিরচর পাকা রাস্তায় গাছ ফেলে একটি লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স আটকে লাশের সাথে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের নগদ প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৮০ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও ৩টি মোবাইল সেট লুট করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা।

ঢাকার শ্যামলী শিশু হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্সটি আফরিন আক্তার (৯) নামের এক শিশুর লাশ নিয়ে মতলব উত্তর থানাধীন শিকারীকান্দি গ্রামে যাচ্ছিল। আফরিনের চাচা মনির হোসেনের দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে এ্যাম্বুলেন্স চালকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানার মামলা রুজু হয়।

দীর্ঘদিন যাবৎ মামলাটির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে যাচ্ছিল মতলব উত্তর থানা পুলিশ। স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্তের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানের সার্বিক তত্বাবধানে মতলব উত্তর থানা পুলিশের একটি শক্তিশালী টিম আসামিদের ধরার চেষ্টা করে।

গত ১০ মার্চ দিবাগত রাত থেকে ১১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত মতলব উত্তর ও দক্ষিণ থানা, দাউদকান্দি এবং তিতাস থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রথমে লুটের ঘটনায় জড়িত ঈষান ঋষির ছেলে জয়কৃষ্ণ ঋষি (৩০), ও কালিদাস মনির ছেলে লিটন মনিকে (৩০) আটক করে পুলিশ। পরে আটক ২ জনের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার লালপুর গ্রাম থেকে তাদের অন্যতম সহযোগী মৃত বাহার আলী প্রধানের ছেলে মোহাম্মদ আলীকে (৪০) আটক করা হয়।

পরদিন ১২ মার্চ ৩ ডাকাতকে আদালতে আনা হয়। আদালতে চাঁদপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নুরে আলমের কাছে আসামিরা অকপটে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে জানায়, একটি মাইক্রোবাস যোগে ৬-৭ লাখ টাকা আসবে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা ৩ জন আরও ৪ সহযোগীসহ পূর্বপরিকল্পনা করে ঘটনাস্থলে ডাকাতি করতে যায়। কিন্তু লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সকে ৬-৭ লাখ টাকাবাহী মাইক্রোবাস মনে করে ডাকাতি করা হয়।

মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৫৩ দিন পর একটি ক্লুলেস ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। পলাতক ৪ জন ডাকাতের সন্ধানে এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Bootstrap Image Preview