শিক্ষার্থীদের চাওয়া পাওয়ার ওপর শপথের সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিয়ার মেসেজ পাওয়ার পর শপথের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে শপথ নেব, না চাইলে নেব না।
আজ বুধবার বিকালে নিজ হল হাজী মু. মুহসীন হলে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এর আগে দুপুরে পুনঃভোট দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদে (ডাকসু)পুনঃনির্বাচন দাবি করেছেন নুর।
নুরুল হক নুর বলেন, ব্যাপক কারচুরির পরও ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে দুটি পদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদকে হারাতে পারেনি ছাত্রলীগ। আপনাদের ভোটে আমি ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ মিলে আমার জয় আটকাতে পারেনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি হিসেবে আমি বলছি, আমি সাধারণ শিক্ষার্থী ও নির্বাচন বর্জনকারীদের সঙ্গে একমত। আমি ডাকসু নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচন দাবি করছি।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ছাত্ররা যে দাবি করেছিল সেগুলোর যৌক্তিকতা ইতোমধ্যে সামনে এসেছে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ শিক্ষকদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিটি গঠন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বানের পাশাপাশি হলের বাইরে কেন্দ্র স্থাপন, স্টিলের বাক্স পরিবর্তন করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহারের দাবি মেনে নিতে হবে।’
ভিপি নুর অভিযোগ করে বলেন, ‘১১ মার্চ একটি কারচুপির নির্বাচন হয়েছে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত ছিল। তারা ভোটের আগে ছক তৈরি করেছিল, সেটি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু দুটি পদে তারা কারচুপি করেও জয় লাভ করতে পারেনি।’
এ ছাড়াও প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, ‘ছাত্ররা আমাকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করেছে সেই জায়গা থেকে বলব, আপনারা হয়রানি, ভয়-ভীতি দেখিয়ে দাস বানাতে চেয়েছেন। মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।’