Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বের সর্ববৃহৎ তসবিহটি এরদোগানকে উপহার দিতে চান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হায়দার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০১:১৭ PM
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০১:১৮ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


বিশ্বে এই প্রথম সাড়ে ৪ হাজার ফুট লম্বা তসবিহ তৈরি করে বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার যুবক আবদুল্লাহ আল হায়দার। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেলেও তসবিহটি মূলত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে উপহার দিতে চান তিনি।

এশিয়া-ইউরোপের সবচেয়ে বড় মসজিদ ‘তাশামালিজা মসজিদ’ নির্মাণের কারণেই হায়দার তার তসবিহটি এরদোগানকে উপহার দিতে চান বলে জানিয়েছেন হায়দার।

এ ব্যাপারে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের আবদুল্লাহ আল হায়দার গণমাধ্যমকে জানান, ইন্টারনেট ঘেটে দেখেছি পাকিস্তানে ৬০ কেজি ওজনের একটি তসবিহ রয়েছে। সে অনুপাতে আমার তসবিহটি লম্বা এবং ওজনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হবে।

যদি সুযোগ পাই তা হলে তসবিহটি আমি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে উপহার দিতে চাই। যেহেতু উনি সবচেয়ে বড় মসজিদ নির্মাণ করেছেন, তাই আমি তসবিহটি তাকে দিতে চাই।

যুবক আবদুল্লাহ আল হায়দার ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে এ তসবিহ তৈরি করেছেন। চার রঙের এক লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ পুঁথি দিয়ে তসবিহটি তৈরি করা হয়েছে।

দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা এই তসবিহটির ওজন ৬৭ কেজিরও বেশি বলে জানিয়েছেন হায়দার।

তিনি দাবি করে বলেন, পুঁথি দিয়ে তৈরি এ তসবিহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্ববৃহৎ তসবিহ। এটিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তসবিহ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ইতিমধ্যে তিনি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদনও করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামের শরীফ আবদুল্লাহ হারুন ও খোশ নাহার বেগম দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট হায়দার। পড়ালেখা শেষ করে এখন বাড়িতেই অলস সময় কাটছে তার। তাই এই অলস সময়টিকে কাজে লাগানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেন এমন কিছু করার, যাতে রেকর্ড গড়া যায়। তাই মা খোশ নাহার বেগমের অনুমতি নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তসবিহ তৈরির কাজ শুরু করেন।

গত ২ জানুয়ারি থেকে তসবিহ তৈরির কাজ শুরু করেন হায়দায়। এ কাজে মো. আরিফুল ইসলাম নামে তার এক বন্ধু সহযোগিতা করেন। প্রায় দুই মাস কাজ করে তসবিহটি তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন তারা।

সরেজমিনে হায়দারের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির একটি কক্ষের মেঝেতে কাপড়ের ওপর বিশাল আকৃতির ওই তসবিহটি রাখা হয়েছে।

এ তসবিহর খবর পেয়ে অনেকেই উৎসুক হয়ে এটি দেখার জন্য এখন হায়দারের বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে।

Bootstrap Image Preview