হবিগঞ্জে র্যাবের অভিযানে নগদ অর্থ ও ইয়াবাসহ আটক ২
আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯, ১২:২৯ PM
দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের গজনাইপুর গ্রামে হাসনা বেগম নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছিলেন ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সেবনের অবাধ সম্রাজ্য।
সোমবার (১১ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের একটি টিম।
এ সময় হাসনা বেগম অভিযানকারী র্যাবের উদ্দেশ্যে বলে তোরা ভুয়া র্যাব এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও করতে থাকে। এমনকি দা হাতে নিয়ে মারার জন্য চেষ্টা করে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলাধীন উত্তর গজনাইপুর গ্রামে বিজনা নদীর পাড়ে হাসনা বেগমের বসত ভিটা। ডিলারদের কাছ থেকে দুই-চার পিস কিনে খুচরা বিক্রি করতে করতে একসময় নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন সারা জেলার ইয়াবা বাজার।
ভাই সারজানকে নিয়ে গড়ে তোলেন বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট। মাদক ব্যবসা চালিয়ে রাতারাতি বনে যায় প্রচুর টাকার মলিক। সোমবার রাতে র্যাবের হাতে আটক হয় এই আলোচিত হাসনা।
র্যাব-৯ এর এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে এবং অভিযানে সহযোগীতা করেন র্যাব গোয়েন্দা শাখার নিয়াজ মুর্শেদ। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে ভাই সারজান পালিয়ে যায়। তবে হাসনা এবং সহযোগী মিজানুরকে ৫'শ ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ইয়াবা বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত নগদ ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৩'শ ৬৭ টাকাসহ তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত হাসনা উত্তর গজনাইপুর গ্রামে মৃত রুয়েল মিয়ার স্ত্রী ও মিজানুর একই গ্রামের মৃত শরিয়ত মিয়ার পুত্র।
এ ব্যাপারে এএসপি আনোয়ার শামীম জানান, এর আগে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও এ সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ব্লক রেইড দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা এবং এক সহযোগীসহ তাকে আটক করা সম্ভব হয়।
