Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পটুয়াখালীতে ইউএনও'র ট্রলারে হামলা, আহত ১১

জাহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৯, ১১:৩৫ AM
আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৪ AM

bdmorning Image Preview


পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদীতে জাটকা নিধনের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় জেলেদের হামলায় বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ (ইউএনও) অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে দুইজনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযানে অংশ নেয়া কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।

সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় তেতুলিয়া নদীর খানকা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বাউফলের তেতুলিয়া নদীকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ইউএনও পিজুস চন্দ্র দের নেতৃত্বে ১১ জনের একটি দল ট্রলারে করে বাউফল উপজেলা-সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীতে জাটকা বিরোধী অভিযানে নামেন।

রাত সাড়ে ৭টার দিকে তেতুলিয়া নদীর চরওয়াডেলের এলাকার শেষ মাথা খানকা পয়েন্টে পৌঁছালে তাঁরা জেলেদের অবৈধভাবে মাছ ধরতে দেখতে পান। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা নৌকা ও জাল ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় নদী থেকে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল ও বাঁধা জাল জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত।   

তিনি আরও বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জেলেরা নিয়মিত জাটকা নিধন করে আসছিল। আমাদের উপস্থিতি টের পেরে সরে যায়। পরে আবার দলগত ভাবে হামলা চালায়। তবে এরকমের কোন হামলায় আমরা অভিযান বন্ধ করবো না। দায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।

বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এখনও মামলা হয়নি, মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, মৎস্য অধিদফতর তেতুলিয়া নদীকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে। এ কারণে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হঠাৎ আক্রমণে খুবই ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় রক্ষা পেয়েছি। 

 

 

Bootstrap Image Preview