নীলফামারীর ডিমলায় ৫ম শ্রেণির এক শিশুছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায়ধর্ষক সেরাজুল ইসলামকে (৫৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১১ মার্চ) তাকে আটক করা হয়। ধর্ষক সেরাজুল মৃত জাবেদ আলীর পুত্র।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১০ মার্চ) বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা তাকে দুপুরে বাড়িতে রেখে ক্ষেতে কাজ করতে যায়। শিশুটি বাড়ির পাশে খেলার সময় জোরপূর্বক মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে একাধিক বিবাহিত সেরাজুল ইসলাম। এতে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
ছাত্রীর বাবা ও মা সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে এসে দেখে একমাত্র কন্যা ঘরের ভিতরে কান্না করছে। তারা ঘটনাটি মেয়ের মুখে জানতে পেরে রাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদুজ্জমান শিশুটির অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ১২টায় নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে শিশু ছাত্রীটি নীলফামারী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মেয়েটির মা বলেন, আমার শিশু কন্যাকে যে লম্পট ধর্ষণ করেছে আমি তার কঠোর শাস্তি চাই। যাতে এই ধর্ষকের শাস্তি দেখে সমাজে আর কোনো শিশু ধর্ষণের শিকার না হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সেরাজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ধর্ষককে আমরা এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।