মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায় বৃদ্ধ বাবার রক্তাক্ত মরদেহ পরে রয়েছে ঘরে। রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে অচেতন ছেলে।
বৃদ্ধ বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার একমাত্র ছেলে তানজিম খানের বিরুদ্ধে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাতে সদর উপজেলার গুলটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. রকিবুজ্জামান জানান, গুলটিয়া গ্রামের বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেন (৮০) ও তার একমাত্র ছেলে তানজিম হাসান একই ঘরে থাকতেন। আনোয়ার প্রায় ১০ বছর ধরে প্যারাইলিস রোগী ছিলেন। পরিবারের অন্য কেউ না থাকায় একমাত্র ছেলে হাসান তার দেখাশোনা করতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতে খাবার খেয়ে বাবা-ছেলে ঘুমিয়ে পড়েন।
ওসি জানান, সকালে প্রতিবেশী এক নারী ঘরের দরজা খোলা দেখে ঢুকে আনোয়ার রহমানের রক্তাক্ত মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় ছেলে হাসানকে না পেয়ে আশপাশের লোকজনদের খবর দেন তিনি। আজ বেলা ১১টার দিকে পাশ্ববর্তী ডাউটিয়া গ্রামের একটি রাস্তার পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় ছেলে হাসানকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওসি মো. রকিবুজ্জামান আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানজিম খান বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।