রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চতুর্থবারের মত দুই দিনব্যাপী ‘চিহ্নমেলা চিরায়তবাঙলা’ লেখক-পাঠক-সম্পাদক বৈশ্বিক সম্মিলন শুরু হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে মেলার উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। এরপর চিহ্নমেলা চিরায়তবাঙলা-১৯ এর ব্যানারে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদুল্লাহ কলা ভবন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে সাহিত্য বিষয়ক ভারতের ৩০টি ও বাংলাদেশের ৯৫টি ছোটকাগজ ও পত্রিকার কর্মী-সম্পাদক-লেখক-পাঠক অংশ নেন।
এরপর কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের সভাপতিত্বে প্রভাত চৌধুরীর রবীন্দ্র-তর্পন। ডিজিটাল বাংলাদেশে বাঙালি জীবনের সাহিত্য’ বিষয়ে কথা বলেন প্রভাত চৌধুরী, সনৎকুমার সাহা, জুলফিকার মতিন, মহীবুল আজিজ, প্রবালকুমার বসু, ইমানুল হক, কানাই সেন ও সোয়েব শাহরিয়ার।
এছাড়াও এদিন বেলা ১২ টায় বর্ণালী রায়ের সঞ্চালনায় ‘ছোট প্রকাশনার সম্ভবনা ও সমস্য’ নিয়ে কথা বলেন, রাখাল রাহা, মনিরুল মুনির, মনজুর রহমান, অলোক বিশ্বাস, সৌভিক দে সরকার, কাজী মামুন হায়দার রানা।
এদিকে বিকেল ৪টায় ‘কবির প্যাথোস ও আজকের কবিতা’ বিষয়ে কথা বলেন, শোয়েব শাহরিয়ার, সরকার মাসুদ, কুমার দীপ, বদরুল হায়দার, তারেক রেজা প্রমুখ।
এদিকে আগামীকাল মেলার সমাপনি দিনে চিহ্নমেলার বিশেষত্ব হিসেবে সৃজনশীল ও মননশীল শাখায় প্রান্তিক দু’জন লেখক-সাহিত্যিকসহ দুই বাংলার ৮টি ছোটকাগজকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। এরমধ্যে ভারতের ৩টি ও বাংলাদেশের ৫টি ছোটকাগজ।