ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর উপস্থিতিতে কোটা আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী নুরুল হক নুরকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নারী প্রার্থীরা। এ সময় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রোকেয়া হলের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরে একপর্যায়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন নুর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোকেয়া হলে ভোট গ্রহণ শুরুতে ৯টি ব্যালট বাক্সের মধ্যে ৬টি প্রার্থীদের সামনে উন্মুক্ত করে দেখানো হয়। বাকি তিনটি দেখায়নি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এ সময় অন্য প্রার্থীরা বাকি তিনটিও উন্মুক্ত করে দেখানোর দাবি জানান। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নারী প্রার্থীদের সঙ্গে অন্য প্রার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নারী প্রার্থীরা চড়াও হয় এবং নুরকে মারধর করে।
কোটা আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী নুরুল হক নুরকে ছাত্রলীগের নারী প্রার্থীরা কেন পিটিয়েছে এমন প্রশ্নে গোলাম রব্বানী বলেন, নুরু আমার বোনদের গালাগালি করেছে। আমার সমর্থকদের ভয়-ভীতি দেখিয়েছে। কে মেরেছে তাকে? তার মাইরের চিহ্ন দেখান, সে (নুরু) মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের এই মিথ্যা গুজব টিকবে না বলেই তারা পালিয়েছে। নুরু হলে ঢুকেছে ৩০ জন নিয়ে, আমি জিএস প্রার্থী, আমি এ হলে একাই প্রবেশ করি। সৎ সাহস আছে বলেই আমি একা ঢুকেছি, আর তারা পালিয়ে গেছে।
নুরু কেন পালিয়ে গেল এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ও (নুরু) বুঝতে পারছে আমাদের পক্ষে গণরায় আসছে। আমাদের বোনরা ছাত্রলীগকে ভোট দিচ্ছে। ওরা পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই পালিয়ে গেছে। ছেলেদের হলগুলোতে সুবিধা করতে না পেরে মেয়েদের হলে এসব অপকর্ম শুরু করেছিল। এর আগেও এরা এমন করেছে। কোটা আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও তারা এসব অপপ্রচার চালিয়েছে। আরেকটি মঞ্চ নাটক করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে।
মারধরের শিকার প্রার্থীদের অভিযোগ, ওই তিনটি বাক্স আগে থেকেই ভরাট করে রাখা হয়েছে। তাই ছাত্রলীগ ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বাক্স তিনটি খুলতে রাজি হননি।