Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মদ্যপ পাত্রকে জামা-প্যান্ট খুলিয়ে ফেরত পাঠালেন পাত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯, ১২:১০ PM
আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯, ১২:১০ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের বিহারের ছপরা জেলার তরৈয়া থানার ডুমরি ছপিয়া গ্রামে মদ পান করে বিয়ে করতে যাওয়ায় বরকে ফেরাল পাত্রী। পাত্রের মাতলামিতে জেরবার হয়ে পাত্রী বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এর পরে বিয়ে বাড়িতে ব্যাপক গোলমাল হয়। পাত্র সমেত বরযাত্রীদের আটকে রাখা হয়। সকালে বরের জামা-প্যান্ট খুলে নিয়ে সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাত্রের গাড়িতে রাখা বিয়ের দানের সমস্ত গয়না ও জিনিসপত্র নিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

বরিবার (১০ মার্চ) রাতে বর যাত্রী বিয়ে করতে গেলে মদ্যপ পাত্রকে জামা-প্যান্ট খুলিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। খবর- আনান্দবাজার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ছপরার মফসসল থানা এলাকার মগাইডিহা গ্রাম থেকে ডুমরি ছপিয়া গ্রামে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন শিবপূজন সাহের ছেলে বাবলু কুমার। অভিযোগ, শুখা বিহারে বিয়ের আগে গলা ভিজিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। তাতেই বিপত্তি বাধে। বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছে মাতলামি শুরু করেন বাবলু কুমার। মহিলার উদ্দেশে অপশব্দ বলতে থাকেন। 

এ অবস্থায় বিয়ের পিঁড়িতে ঠিকমতো বসতেও পারছিলেন না বাবলু। এ সব দেখে বেঁকে বসেন পাত্রী রিঙ্কি কুমারী। সোজা বিয়ের মণ্ডপ থেকে উঠে ঘরে চলে যান তিনি। প্রথমে সকলে পাত্রীকে সকলে বোঝানোর চেষ্টা করলেও রিঙ্কির মা রাজি হননি। এমন পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এর পরে পাত্রপক্ষ গায়ের জোর দেখাতে গেলে গ্রামের লোক তাদের আটক করে ঘরে বন্ধ করে রাখে। পাত্রপক্ষের অনেকেই মদের নেশায় চুর হয়ে ছিলেন। তাই আটক অবস্থায়ও পুলিশকে ফোন করার সাহস করেননি তারা। 

সূত্র থেকে আরো জানা যায়, সকালে রিঙ্কির বাড়ির লোকজন বরযাত্রীদের ছেড়ে দেন। তবে রিঙ্কির মায়ের নির্দেশে বাবলু কুমারের জামা-প্যান্ট খুলে নেওয়া হয়। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার জেরে ত্রিভুবন শাহের গোটা পরিবার মানসিক চাপে। 

সাংবাদিকের সঙ্গে কেউই কথা বলতে চাননি। তবে আত্মীয়েরা রিঙ্কির প্রশংসাই করছেন। যেভাবে মত্ত পাত্রের বিরুদ্ধে রিঙ্কি বিদ্রোহ করেছে, তা বিহারের মতো রাজ্যে দেখা যায় না বলেই অনেকের মত। রিঙ্কির পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এ ব্যাপারে প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, রাজ্যে মদ বন্ধ। বিয়ের অনুষ্ঠানে মদ খেয়ে যাওয়ায় পাত্রী সরাসরি পাত্রকে বাতিল করার ঘটনা প্রশংসার বিষয়। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রিঙ্কিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও ভাবছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। 

Bootstrap Image Preview