Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে ৩ জনের ফাঁসি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৯, ০৭:০৯ PM
আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯, ০৭:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


অটোরিকশা চালককে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় অপরাধী তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ময়মনসিংহের একটি আদালত।

হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর রবিবার (১০ মার্চ) ময়মনসিংহের ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইকবাল হোসেন এ মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার উজানপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে জিয়াউল হাসান (২৫), ভালুকার ছোটকাশর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৪) এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গলদা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সুরুজ মিয়া (২৫)।

রাষ্টপক্ষের আইনজীবী এবিএম নুরুজ্জামান খোকন জানান, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে প্রথম দু'জন কারাগারে এবং আরেকজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথি নিথি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ মার্চ বিকালে যাত্রীবেশে ভালুকা উপজেলার কাঁচিনা বাজারের আবুল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলামের সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া নেয় তিন ব্যক্তি। আর তার পরপরেই সন্ধ্যার দিকে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর শফিকুলকে ভালুকার জামিদিয়া মাষ্টারবাড়ির বিলাইজুড়া খালে ফেলে তার অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যার পরদিন স্থানীয়রা এলাকাবাসীরা শফিকুল ইসলামের মরদেহ খালে ভাসতে দেখলে পরিবারের লোকজন ও পুলিশকে খবর দেয়।

এ ঘটনায় গত ১৩ মার্চ শফিকুলের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান বলেন, পরে পুলিশ অন্য একটি মামলায় ইসমাইল হোসেনকে আটক করলে তিনি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আর এর থেকে শফিকুল হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে।

নুরুজ্জামান আরও বলেন, পরবর্তীতে পুলিশ জিয়াউল হাসানকে আটক করলে তিনিও আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর পুলিশ ওই তিন জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। যার থেকে শফিকুল ইসলামের হত্যার সম্পূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসে।

 

Bootstrap Image Preview