Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইবিতে ফের সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

আহসান নাঈম, ইবি প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৯, ০৬:১৩ PM
আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯, ০৬:১৩ PM

bdmorning Image Preview


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবির মুখে বন্ধ হওয়া সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু হতে যাচ্ছে। আগামিকাল সোমবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।  

এদিকে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা খুশি হলেও এতে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি মোরশেদ হাবিব বলেন, নিয়মিত ছাত্রদের বেলায় শিক্ষকদের খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ ইভিনিংয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে চলে আসেন। আমাদের রেজাল্ট হয় না ৯ মাসেও অথচ তাদের বেলায় ২ মাসও লাগে না। অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা সারাবছর পড়ে ভালো রেজাল্ট করতে না পারলেও তারা একদিন পরেই 'এ' গ্রেড পায়। এই ইভিনিং যদি চালু হয় আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। 

রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামি ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৫তম একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান আলোচনার বিষয় থাকবে শিক্ষক সমিতি দাবির প্রেক্ষিতে সান্ধ্যকালীন পুনরায় চালুর বিষয়। একাডেমিক সভায় সুপারিশ হলে পরে সেটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেট সভায় পাঠানো হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে একাডেমিক কাউন্সিলে বাতিল হওয়া কোর্স পুনরায় চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, সান্ধ্যকালীন কোর্সের বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিলের সুপারিশ পাশ হয়। পরে ২৪২তম সিন্ডিকেট সভায় সান্ধ্যকালীন কোর্স চূড়ান্তভাবে বাতিল হয়।  

এদিকে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তটি দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এ বিষয়টি প্রশংসা করেন। কিন্তু ছয় মাস পরেই সেই বন্ধ কোর্স ফিরে আসার সম্ভাবনায় মুছড়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ানের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত তিমির বলেন, আর্থিক যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ গ্রহণ করা শিক্ষানীতি বিরোধী। ইবিতে সান্ধ্যকালীন নামে বাণিজ্যিক শিক্ষা বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু করা মানে পচা শামুকে পা দেওয়া। এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিবে না।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমতির সাধারণ সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তাদের ওই সভার ২নং রেজুলেশনে বিষয়টি নথিভুক্ত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ইভিনিং প্রোগ্রাম চালুকরণ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা শেষে ঠিক যেভাবে ছিল সেভাবেই ইভিনিং চালুর বিষয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও পরের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি নিয়ে সবাইকে কথা বলার জন্যও বলা হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কামাল উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, সান্ধ্যকালীন কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিয়মতান্ত্রিক বিষয়। যে অযুহাতে কোর্স বাতিল করা হয়েছে সেগুলো সমাধান না করেই বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের বিষয়টি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়নি।

আমরা দাবি জানিয়েছি, তবে এটি কারো একক সিদ্ধান্তে হবে না। একাডেমিক কাউন্সিলের সম্মানিত মেম্বাররা যেটি ভাল মনে করবেন সেটাই হবে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, শিক্ষক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে আগামিকাল একাডেমিক কাউন্সিলে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি একুশ শতকের শিক্ষাব্যবস্থায় যথাযথ গুণগতমান নিশ্চিত না করে কোন ডিগ্রি প্রদান প্রত্যাশিত নয়। 



 

Bootstrap Image Preview