কুড়িগ্রামে ১৩ দিন বয়সী এক কন্যা শিশুকে টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে হত্যা করেছেন বিলকিছ নামে এক মা। এ ঘটনায় বিলকিছ বেগম নামে ওই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে তার বিষয়ে মা বিলকিছের কাছে জানতে চান স্বামী বায়েজিদের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। তখন তিনি উল্টাপাল্টা অসংলগ্ন কথা বললে তাদের সন্দেহ হয়। পরে সবাই খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পেছনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে প্রায় ডুবে থাকা অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পায়। পরে বিকেলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং শিশুটির মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, সংসারের অভাব-অনটনে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গৃহবধূর স্বামী বায়েজিদ মিয়া টাঙ্গাইলে রিকশা চালান। সেখানেই থাকেন বায়েজিদ। ১৩ দিন আগে তাদের মেয়ে সন্তান হয়। তাদের সাত বছরের আরও একটি মেয়ে রয়েছে।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ব্যাপারী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এটি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। কি কারণে ওই মহিলা এমন ঘটনা ঘটালো এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
নাগেশ্বরী থানার ওসি নয়ন দাস বলেন, শিশু মেয়েকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে তারা শিশুটির মরদেহ উদ্ধারসহ তার মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অভাবের তাড়না থেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদে সব জানা যাবে।