Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাশ্মীর নিয়ে সংঘর্ষ; নিহত ৬০ হাজার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:০৬ PM
আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:০৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


কাশ্মীর নিয়ে সংঘর্ষে গেল ৭ দশকে ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তিন তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে প্রতিবেশী ভারত এবং পাকিস্তান। হিমালয়ের পাদদেশের এই ভূ-স্বর্গকে নিয়ন্ত্রণ নিতে এখনো দু'দেশ মুখোমুখি হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে জন্ম নেয় ভারত এবং পাকিস্তান নামের দুই রাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে শেষবারের মতো অবনমিত হয় ব্রিটিশ পতাকা। ধর্মের ভিত্তিতে দুই দেশ ভাগ হলেও কাশ্মীর রয়ে যায় স্বতন্ত্র ভূখণ্ড হিসেবে। 

ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণভোটের মাধ্যমে সাধারণ কাশ্মীরিরাই নির্ধারণ করবে নিজেদের ভবিষ্যৎ।

সে সময় কাশ্মীরের শাসক ছিলেন মহারাজা হরি সিং। গণভোটের দাবি উপেক্ষা করে তিনি ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে চাইলে কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা এর বিরোধিতা করেন। তা উপেক্ষা করে ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন হরি সিং। পাকিস্তান এর তীব্র বিরোধিতা করলে, ১৯৪৭ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে। প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে নিহত হয় উভয় দেশের প্রায় দশ হাজার সেনা।

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় উভয় দেশের সেনা প্রত্যাহার ও গণভোট আয়োজনের শর্তে শেষ হয় যুদ্ধ। কিন্তু সেনা প্রত্যাহার না হওয়ায় গণভোট আর অনুষ্ঠিত হয়নি। 

১৯৪৮ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখার মাধ্যমে কার্যত দুই ভাগ হয়ে যায় কাশ্মীর। এর ৪০ শতাংশের দখল পায় পাকিস্তান। আর প্রায় ৬০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত। পরে একে প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করে নয়াদিল্লী। যা দেশটির একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ।

১৯৬২ সালে ভারতের সঙ্গে চীনের যুদ্ধ বাঁধে। সেসময় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের আকসাই অংশটি দখল করে নেয় চীন। অন্যদিকে ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান কাশ্মীরের কারাকোরাম অঞ্চলটি চীনের হাতে ছেড়ে দেয়। এর মাধ্যমে তিনভাগে ভাগ হয়ে যায় ভূ-স্বর্গ।

কাশ্মীর ইস্যুতে ১৯৬৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধে জড়ায় ভারত এবং পাকিস্তান। নিহত হয় ভারতের ৩ হাজার এবং পাকিস্তানের প্রায় ৪ হাজার সেনা এবং দু'পক্ষে সৈন্য আহত হয় কয়েক হাজার করে। ক্ষয়ক্ষতিও হয় ব্যাপক।

১৯৮৪ সালে কাশ্মীরের সিয়াচেন হিমবাহ এলাকার দখল নেয় ভারত। এরপর ১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তান লিপ্ত হয় তৃতীয় যুদ্ধে। যা কার্গিল যুদ্ধ নামে পরিচিত। এতে হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, যুদ্ধে ভারতের ৫ হাজার এবং পাকিস্তানের ৪ হাজার সেনা নিহত হয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যস্থতায় অস্ত্র বিরতির আগে প্রায় তিন মাস ধরে চলা কার্গিল যুদ্ধই ছিল সবচেয়ে বিধ্বংসী।

ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির আগ থেকেই বিভিন্ন শাসকদের কাছে নিপীড়িত হয়ে আসছিল সাধারণ কাশ্মীরিরা। ১৯৩১ সালে কাশ্মীরের তৎকালীন শাসক মহারাজার বিরুদ্ধে আন্দোলনে ২২ জন নিহত হন। মূলত এরপর থেকেই সাধারণ কাশ্মীরিরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে শুরু করে।

Bootstrap Image Preview