টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সেনা সদস্য আজিজুল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে নিহত আজিজুলের ছোট ভাই রাসেল মিয়া বাদী হয়ে ৩০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
নিহত আজিজুল বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে আর্টিলারি কোরে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটিতে শুক্রবার সকালে বাড়িতে এসেছিলেন।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে দেওভোগ গ্রামের বাকি মোল্লার ছেলে কামরুল মোল্লা ও নিহত আজিজুলের ভাই রাসেলের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় মাতব্বরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য শুক্রবার বিকেলে সালিশি বৈঠকের দিন ঠিক করেন। কিন্তু কামরুল মোল্লা বৈঠকের আগেই বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রাসেলকে একা পেয়ে তার লোকজন নিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
ঘটনাটি জানতে পেরে রাসেলের বড় ভাই সেনা সদস্য আজিজুল শুক্রবার সকালে বাড়িতে আসেন। সকাল ৯টার দিকে একই গ্রামের মাতাব্বর বিল্লাল খান মীমাংসার কথা বলে আজিজুল মিয়াকে ডেকে নেন। এ সময় ভাই রাসেলসহ আত্মীয়রা আজিজুলের সঙ্গে ছিলেন বলে আজিজুলের ফুফু হাছনা বেগম ও ছোট ভাই রাসেল জানিয়েছেন। পথিমধ্যে রমজান মোল্লার দোকানের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কামরুল মোল্লার নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লাঠিসোটা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় আজিজকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে দেওভোগ গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ দফাদারের ছেলে মো. বিল্লাল খান (৬৫), ফিরোজ মোল্লার ছেলে খাইরুল মোল্লা (১৯), আমজাদ মোল্লার ছেলে আকরাম মোল্লা (১৯), রেজ্জাক মোল্লার ছেলে মমিন মোল্লা (২৭) ও রফিক মোল্লার ছেলে মিলটন মোল্লাকে (১৯) আটক করে পুলিশ। মামলা হওয়ার আটকদের গ্রেফতার দেখানো হয়।