Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দিল ছাত্রলীগ নেতা

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৬:৫২ PM
আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৬:৫২ PM

bdmorning Image Preview


মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যগিংয়ের নামে ডেকে নিয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে মেরে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিমের হাত ভেঙে দিয়েছে এবং শুভ ও রানাকে মারধর করেছে একই বিভাগের ৪র্থ বর্ষ ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম শিকদার ও তার সহযোগিরা।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর দুইটায় তারা উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগি অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে।

১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের প্রায় প্রতিদিনই ২য় বর্ষের ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা তাদের র‌্যগিংয়ের নামে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। প্রায় দেড় মাস সিনিয়রদের সম্মান দেখিয়ে চুপচাপ ছিলাম, কিন্তু শিবির আখ্যা দিয়ে ফাহিম, শুভ ও রানাকে পেটানোর পর তারা ক্ষুদ্ধ। এর আগেও তারা পাঁচ জনকে পিটিয়েছে। আর এ সকল কিছুর নেতৃত্ব দিচ্ছে সায়েম শিকদার।

'সায়েম শিকদার আরও হুমকি দিয়ে জানিয়েছে সে ক্যম্পাসের কিং, সবাই তার পায়ের নিচে থাকে। সবাইকে দিয়ে সায়েম জোড়পূর্বক বিকাশ একাউন্ট খুলে নিয়েছে। সে একাউন্টগুলো দিয়ে সায়েম টাকা লেনদেন করে। ২০০০ টাকা একাউন্ট প্রতি লেনদেন করে ৫০০ টাকা লাভ করে নেয় সায়েম শিকদার।'

গত শুক্রবার রাতে ফাহিম, শুভ ও রানাকে মুঠোফোনে দুই বার ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এ সময় উক্ত বিভাগের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী কামাল, অনিন্দ, জিল্লুর, আতিক ও রাশেদ, সায়েমের সাথে ফাহিম, শুভ ও রানাকে মারধর করতে সাহায্য কর বলে জানা যায়।

ইতিপূর্বে সায়েম শিকদার ২০১৮-১৯ শিক্ষবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন অগ্রীম ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দেবার কথা বলে ২০ হাজার টাকা লেনদেনের সময় টাঙ্গাইল ডিবির কাছে আটক হয়। সায়েম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের সমর্থক বলে জানা যায়। অভিযোগ দেবার পরপরই সাইদুর রহমান তার দলবল নিয়ে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে এসে সায়েমকে বাচানোর তদবির করে। এ সময় তার দলের ছেলেরা ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ছবি তুলতে থাকে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২য় বর্ষেও ১ম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ৫ শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ মুচলেকা নেয়া হবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সায়েম শিকদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ফাহিম শিবিরের সাথে যুক্ত, তার তথ্য প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। এ জন্য সায়েম তাকে পিটিয়েছে। সাংগঠনিকভাবে আমাকে সেখানে যেতে হয়। বাকি দুই জনকে পিটিয়ে থাকলে দোষীদের বিচার হবে।

Bootstrap Image Preview