‘মোদির মতো ধর্মান্ধদের কারণে গান্ধীকেও অনশন করতে হয়েছে’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ধর্মান্ধ, তার মতো ধর্মান্ধদের কারণে মহাত্মা গান্ধীকেও অনশন করতে হয়েছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অঞ্চলকে সন্ত্রাসের এলাকায় পরিণত করছে বলে অভিযোগ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। 

শুক্রবার (৮ মার্চ) থার মরুভূমির পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওই মরু অঞ্চলের অর্ধেক বাসিন্দাই যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, সে ব্যাপারে তিনি অবগত। 

এই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন মোদি সরকার ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হলেও তার সরকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে জানান। 

৪৭-এর দেশভাগের আগের ভারতীয় উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পরিস্থিতি স্মরণ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মোদির মতো মানুষের উন্মাদনার কারণেই এখানকার মুসলমানরা পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবি তুলতে বাধ্য হয়েছে। 

ইমরান দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচন জিততে ঘৃণা আর যুদ্ধের রাজনীতিকে হাতিয়ার করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ডিভাইড অ্যান্ড রুল নামের বিভাজনের রাজনীতিকে ভর করে অখণ্ড ভারতে প্রায় ২০০ বছরের উপনিবেশ কায়েম রাখতে সমর্থ হয়েছিল ব্রিটিশরা। দুই পক্ষের ধর্মোন্মত্ত মানুষই ছিল তাদের শাসনের ভিত্তি। 

ইমরান বলেন, মোদির মতো মানসিকতার মানুষদের জন্যই উপমহাদেশের মুসলমানেরা আলাদা দেশের জন্য লড়াই করতে বাধ্য হয়েছে। তার মতো ধর্মান্ধদের সহিংসতার কারণে মহাত্মা গান্ধীকেও অনশন করতে হয়েছে। উন্মত্ততার অবসান ঘটিয়ে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে না দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেছেন, কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলি জিন্নাহর অনুপ্রেরণায় পকিস্তানের সব বর্ণ ও ধর্মের মানুষদের সুরক্ষায় তার সরকার কাজ করছে। দেশের সব ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তার সরকার। কাউকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।

ইমরান দাবি করেন, ক্ষমতায় আসার পরই এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। তবে আসন্ন নির্বাচনে জিততে মোদি ঘৃণা আর যুদ্ধের রাজনীতি জড়িয়ে পড়েছেন। 

তিনি বলেন, পুলওয়ামায় হামলার পর অপরাধীদের শনাক্তে পাকিস্তানের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়ার পরিবর্তে কাশ্মিরের বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ করে ফেলেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভারতে কোনো ধরণের দুর্ভাগ্যজনক পদক্ষেপ নিলে সশস্ত্র বাহিনী এবং পাকিস্তানের জনগণ যথাযথ জবাব দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দুর্বল নন তবে এখন ভারতের বিরুদ্ধে নয় দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনোযোগ দিতে হবে।