নওগাঁর আত্রাইয়ে চাঞ্চল্যকর জুলেখা হত্যাকাণ্ডের রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে সাবেক স্বামী বেলাল হোসেন। থানা পুলিশের সঠিক পদক্ষেপের কারণে এ বেলাল হোসেন মূলরহস্য উন্মোচিত হয়েছে বলে জানা যায়।
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোবারক হোসেন জানান, গত ২০ ডিসেম্বর উপজেলার বড়কালিকাপুর তিন নাম্বার সুইচ গেটের নিচে জুলেখা খাতুনকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং ও লোকেশনের মাধ্যমে তদন্ত করতে মাঠে নামে। গত সোমবার বেলাল হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে থানায় নিয়ে আসে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ তিন দিনের রিমান্ডে ঘাতক বেলাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে একপর্যায়ে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
বেলাল হোসেনের দেয়া জবানবন্দি থেকে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ২২ জুলাই নওগাঁ সদর থানার গোপাই গ্রামের মানিক প্রামানিকের মেয়ে জুলেখা খাতুন (৩০) এর সাথে তার বিয়ে হয়। বছর খানিক অতিবাহিত হওয়ার পর তাদের ডিভোর্স হয়। কিন্তু তারপরেও তার সাথে জুলেখা খাতুনের যোগাযোগ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সে গত ২০ ডিসেম্বর মোবাইলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকা গার্মেন্টস থেকে জুলেখা খাতুনকে নিয়ে আসে। জুলেখা নওগাঁ পৌছালে তাকে নিয়ে রাত ১০টার দিকে সে আত্রাই উপজেলার বড়কালিকাপুর তিন নাম্বার সুইচ গেটে নিয়ে এসে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাই। এতে জুলেখা আবারও বিয়ে না করে দৈহিক মেলামেশায় বাঁধা সৃষ্টি করে। বাঁধা সৃষ্টির এক পর্যায়ে ঘাতক বেলাল হোসেন ধাক্কা দিয়ে জুলেখা খাতুনকে সুইচ গেটের নিচে ডোবাই ফেলে দেয়। পরে তাকে ধারালো চাকু দিয়ে জবাই করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।