Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নীলফামারী সদর ও জলঢাকায় চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ অনিশ্চিত

এম এ মোমেন, নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:৫৪ AM
আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:৫৪ AM

bdmorning Image Preview


নীলফামারী সদর উপজেলা ও জলঢাকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ এখন অনিশ্চিত। আইনী জটিলতার কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে তফসিল অনুযায়ী আগামী ১০ মার্চ এই উপজেলায় ভোটগ্রহণের দিন ছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনি জটিলতায় ওই দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট যদি স্থগিত হয় তাহলে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।

নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেন নয়নের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পায়। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহিদ আহমেদ আদালতে সাদিক হোসেন নয়নের প্রার্থীতার বিষয়ে লিভ টু আপীল করায় আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে আদালত।

তিনি আরো বলেন, মহামান্য আদালতের এ আদেশগুলো উল্লেখ করে নির্দেশনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি পত্র প্রেরণ করেছি। নির্বাচন কমিশনের সাথে আমাদের টেলিফোনে কথা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন লিখিতভাবে আমাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করতে চেয়েছেন। নির্দেশনা পেলে নির্বাচন হবে কি হবে না তা সঠিক ভাবে আপনাদেরকে জানাতে পারবো।

অপরদিকে জলঢাকা উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম জানান, আইনি জটিলতার কারণে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পায়। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনছার আলী মিন্টু আদালতে লিভ টু আপিল করায় আগামী ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আদালত।

তিনি বলেন, আদালতের আদেশ ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তিনিও জানান ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো জটিলতা নেই।

উল্লেখ্য, এই দুই উপজেলায় দুজন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

Bootstrap Image Preview