ভারতের মহারাষ্ট্রের আলিবাগে সমুদ্রের পাড়ের কাছেই এক বিলাসবহুল বাংলো বানিয়েছিলেন নীরব মোদি। কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছিল ৩৩ হাজার স্কয়ার ফুটের সেই বাংলো। অবশেষে ১০০টি বিস্ফোরক ডায়নামাইট দিয়ে ভাঙা হলো মোদির সাধের বাংলো।
ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, উপকূল এলাকার নিয়ম ভেঙেই তৈরি হয়েছিল সেই বিলাসবহুল বাংলো। অবৈধভাবে নির্মাণকৃত বাংলোর গাঁথনি অত্যন্ত মজবুত। কিছু দিয়েই ভাঙা যাচ্ছে না। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও কাজ দেয়নি। ফলে চিন্তায় পড়ে যায় মহারাষ্ট্র সরকার। ওই বাংলোয় গাড়ি নিয়ে সরাসরি ঢুকে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সুইমিং পুল, পার্কসহ ছিল বিনোদনের সবরকম বন্দোবস্ত।
কিন্তু সমুদ্র উপকূলে বাড়ি বানাতে গেলে যে সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হয়, তার ধার ধারেননি নীরব মোদি। নজর দেননি পরিবেশ সংরক্ষণের দিকেও বরং বেআইনিভাবেই বিলাসবহুল ওই বাংলোটি তৈরি করিয়েছিলেন। বাংলোর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালেই বোম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ হাজার কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ নীরব মোদির বিরুদ্ধে। তবে গোয়েন্দাদের টনক নড়ার আগেই দেশ ছেড়ে পালান তিনি। তারপর এক বছরেরও বেশি পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাকে ফেরানো সম্ভব হয়নি।
মোদি দেশত্যাগ করার পরই টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় বাংলো ভাঙার কাজ।
কিন্তু প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত কাজ এগোয়নি সেভাবে। শুধু মাত্র কাঁচের জানলা, দরজা শুধু ভাঙা পড়ে। মেঝে, পিলার এবং ছাদের চাঙর পর্যন্ত ভাঙা সম্ভব হয়নি। বাংলোর গাঁথনি এতটাই মজবুত যে ছেনি-হাতুড়ি, এমনকি আধুনিক যন্ত্রপাতিও কাজ দেয়নি। বাধ্য হয়ে তাই ডায়নামাইট আনা হয়। ১০০টি বিস্ফোরক ব্যবহার করে আজ শুক্রবার সকালে বাংলোটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।