ভিআইপি যাবে সড়ক দিয়ে, তাই রাস্তায় মানুষ থেকে নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে তৈরি হয় বিশাল যানজট। দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ লোকজনকে। বিষয়টি নেপালের জনগণ মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা ট্রাফিক ভেঙে প্রতিবাদ জানায়।
নেপালের নামকরা দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্টের অনলাইনের খবরে বলা হয়, এই ঘটনা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার।
সংবাদে বলা হয়, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী তার বাসভবন মহারাজগঞ্জের শীতল নিবাস থেকে নেপালের সেনা সদর দফতরে যাবেন। দেশটির সেনা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। এ জন্য লাইনচুর থেকে ভদ্রকলি পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এতে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। মোটরসাইকেল, গাড়ি আটকা পড়ে। এই অবস্থা চলতে থাকে ৪০ মিনিট ধরে। আর এতেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় জনতার।
এমন অবস্থায় রাস্তার যানগুলো হর্ন বাজাতে শুরু করে। একসঙ্গে হর্ন বাজাতে থাকে সবাই। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। ‘সড়ক জনগণের জন্য, প্রেসিডেন্টের একার নয়।’
এক পর্যায়ে দেখা যায় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল চালকরা তাদের মোটরসাইকেল চালিয়ে দেয়। তাদের দেখাদেখি গাড়িগুলোও চলা শুরু করে। এ সময় পুলিশি তাদের থামাতে চাইলেও তারা গাড়ি থামায়নি। ফলে ট্রাফিক পুলিশকে অসহায় অবস্থায় রাস্তা থেকে সড়ে দাঁড়াতে হয়।
কামাল বিসটা নামে এক সাংবাদিক কাঠমান্ডু পোস্টেকে ঘটনাস্থল থেকে বলেন, প্রেসিডেন্ট চলে যাওয়ার পরও রাস্তা আটকে রাখে পুলিশ। অথচ আমরাই তাকে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছি। তাই আমাদের বাধা দিয়ে এভাবে রাস্তা বন্ধ করে রাখার অধিকার কারো নেই।