Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে মাঠে ৯ সাহসী নারী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০১৯, ১২:৫১ PM
আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৯, ১২:৫১ PM

bdmorning Image Preview


খাদ্যে ভেজাল, ওজনে কম সবমিলিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মিলছে না পণ্য ও সেবা। বাড়তি মুনাফার লোভে এভাবে নানা কৌশলে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী। এ ধরনের অপরাধ দমনে মাঠে কাজ করছেন ৮ সাহসী নারী কর্মকর্তারা।

তারা ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত চলছে ভেজালবিরোধী অভিযান। হোটেল রেস্টুরেন্ট, সুপারসপসহ ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে সব জায়গায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। অভিযোগ নিষ্পত্তিতেও এসব নারী কর্মকর্তারা সুনাম কুড়িয়েছেন। সংসার সামলেও পুরুষের সঙ্গে সমানতালে কাজ করে বৈষম্য দূর করছেন।

এমনই একজন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। এছাড়াও রয়েছেন- অধিদফতরের উপ-পরিচালক নুরজাহার বেগম, সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, আতিয়া সুলতানা, আফরোজা রহমান, ফাহমিনা আক্তার, রজবী নাহার রজনী, ইন্দ্রানী রয় ও জান্নাতুল ফেরদাউস।

নারীদের চার দেয়ালের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে নিরলস কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শাহীন আরা মমতাজ বলেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরি করছি। যার বেশিরভাগ সময় কেটেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। গত আড়াই বছরে ধরে প্রেষণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে কাজ করছি।

তিনি বলেন, নারী বলে তো আমি কখনো পিছিয়ে থাকিনি। সব সময় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। ভোক্তা অধিদফতরে কাজের সময় সাধারণ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করায় দেশের শীর্ষ বেসরকারি মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংককে জরিমানা করেছি।

এছাড়া ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন করায় সিটি গ্রুপ, বেঙ্গল গ্রুপ, বাটা, এপেক্স ও দারাজসহ নামিদামি বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে গত আড়াই বছরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা জরিমানা করেছি। 

কাজের ক্ষেত্রে নারী অফিসার হিসেবে কখনো কারও কাছ থেকে বাধাপ্রাপ্ত হইনি। সবার সহযোগিতা পেয়ে কাজ করে আসছি। আগামীতে এভাবেই আরও কাজ করে যাব- বিশ্ব নারী দিবসে এ আমার প্রত্যাশা।

অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, মাঠে কাজ করা কঠিন। তবে এ ক্ষেত্রে যে নারীরা পিছিয়ে আছে তা নয়। আমরা অনেক দূরে অপারেশনে যায় এ ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। বরং প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা পাই।

তিনি আরও বলেন, মেয়েরা গুছিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে। অফিসের কাজের ক্ষেত্রেও একটু নিয়ম মেনে করে। যেমন- অভিযোগ শুনানিকালে আমরা যতটুকু সম্ভব ধৈর্য্য নিয়ে শুনি ও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেই। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একজন পুরুষ কর্মকর্তা এতো ধৈর্য্য নিয়ে শোনেন না। 

সংসার ও কর্মক্ষেত্র দু'টি একসঙ্গে চালাতে গিয়ে একটু সমস্যা হয়। তবে এটি সমন্বয় করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এটাকে মাথায় রেখেই আমরা নারীরা এগিয়ে যাচ্ছি। 

 

Bootstrap Image Preview