Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বের সর্ববৃহৎ মসজিদের উদ্বোধন হলো ফজরের আজানের মাধ্যমে, নামাজে মুসল্লিদের ঢল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০১৯, ১০:৫০ AM
আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৯, ১০:৫০ AM

bdmorning Image Preview


ফজরের আজানের মাধ্যমে উদ্বোধন হলো ৬৩ হাজার মুসল্লির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন তুরস্কের সর্ববৃহৎ দৃষ্টিনন্দন কামলিকা মসজিদ কমপ্লেক্স।

বৃহস্পতিবার (৭ই মার্চ) দেশটির পর্যটন রাজধানী ইস্তানবুলে কামালিকা পার্বত্য অঞ্চলে ৬৩ হাজারের অধিক মুসল্লির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ কমপ্লেক্সটি ফজরের আজান ও নামাজের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

অটোমান-সেলজুক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত এ মসজিদ কমপ্লেক্সটি ধারাবাহিকভাবে ৬ বছর নির্মাণকাজ শেষে আজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপন করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িব এরদোগান।

কামালিকা মসজিদ কমপ্লেক্সটি উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন ক্ষমতাসীন দল একেপির মনোনীত ইস্তাম্বুল সিটি নির্বাচনের প্রার্থী বিন আলি ইলদিরিম। ইতিহাসের অংশ হতে ইস্তানবুলসহ তুরস্কের সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মুসল্লি মসজিদের প্রথম নামাজে অংশ নিয়েছেন।

আয়তনে ১৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত মসজিদ কমপ্লেক্সটিতে একত্রে ৬৩ হাজারেরও অধিক মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবে। এতে আরও আছে একটি বৃহৎ কনফারেন্স হল, তুর্কি ইসলামী স্মৃতিসৌধ এবং একটি যাদুঘর, একটি পাবলিক লাইব্রেরি এবং একটি আর্ট গ্যালারি। আছে বিশালআকারের পার্কিং স্পেশ এবং ক্লিনিক।

এই মসজিদের রয়েছে সুবিশাল ছয়টি মিনারা। বড় চারটি মিনারার উচ্চতা ১০৭.১ মিটার এবং বাকি দুটি মিনারা ৯০ মিটার উচ্চতার। মসজিদের বৃহদাকার গম্বুজের উচ্চতা ৭২ মিটার। প্রতিটি কাতার ৩৪ মিটার লম্বা

গম্বুজের ১৬ টি নামকরণ করা হয়েছে, যা তুর্কদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রগুলির প্রতীক। প্রধান গম্বুজের তিনটি টুকরা ফিনিয়াল, ৪.৫ টন।

মসজিদটিতে একইসাথে ৭টি জানাযার আয়োজন করা যাবে।

মসজিদ কমপ্লেক্সে ৩০ একর স্থানজুড়ে বাগান করা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা ইস্তানবুলের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যটি উপভোগ করতে পারে।

ইস্তাম্বুলের এশিয়া-ইউরোপ সীমান্তরেখা বরাবর দাঁড়ানো এই মসজিদ থেকে পুরো নগরীর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। একইসাথে শহরের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মসজিদটিকে স্পস্টভাবে দেখা যায়।

বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সেলজুক তুর্কদের বিজয় হিসাবে মসজিদটিকে উৎসর্গ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview