Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৮৬ শতাংশ যৌন নির্যাতন ঘটে চালক ও চালকের সহকারীর দ্বারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৯:১৩ PM
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৯:১৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বাংলাদেশের শতকরা ৮৮ জন নারী রাস্তায় চলার পথে অপমানজনক মন্তব্যের মুখোমুখি হন। এদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ চালক ও চালকের সহকারীর দ্বারা এবং শতকরা ৬৯ জন দোকানদার এবং বিক্রেতার মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

আজ বুধবার ‘শব্দে জব্দ নারী’ বিষয়ে অ্যাকশন এইড এর আয়োজনে ‘সেইফ সিটিজ ফর উইমেন’ ক্যাম্পেইনের একটি গবেষণার ফল প্রকাশের সময় এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষণালব্ধ ফল ও শব্দে জব্দ নারীর ধারণাপত্রের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অভিমত জানান। তারা বলেন, ঘরে-বাইরে অবমাননাকর শব্দের ব্যবহার নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করছে। এতে নারীর মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি দৃশ্যমান হয় না এবং এখনও তারা প্রশ্নের মুখে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাষার ব্যবহারে সংবেদনশীলতা না এলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে না।

নারীর প্রতি সব ধরনের অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার রোধে সচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৯ উপলক্ষে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ আয়োজন করে ‘শব্দে জব্দ নারী’ অনুষ্ঠানটির।

বুধবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারীনেত্রী, সংগঠক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানের ধারণাপত্রে বলা হয়, একটি সমাজের প্রচলিত ভাষা সেই সমাজ এবং তার জনগণের মতাদর্শকে বহন করে। আমাদের সমাজে নারীকে দাবিয়ে রাখতে এবং হেয় করার জন্য এই ভাষার ব্যবহার মাত্রাধিক এবং এটি সমাজের মানুষের মনোভাবকে প্রতিফলিত করে। অশোভন ভাষা ও কটূক্তি একজন নারীর মানসিক, শারীরিক এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নকে বাধাগ্রস্ত করে।

এ পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘‘ঘরে-বাইরে প্রথমেই একজন নারীকে ভাষার মাধ্যমে হেয় করা হয়, যাতে তিনি মানসিক ও সামাজিকভাবে এগুতে না পারেন। শব্দ, বাক্য এবং উক্তিতে কোনও লিঙ্গ থাকার কথা না। কিন্তু সেই ভাষাকেই লিঙ্গ অনুযায়ী ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন- অনেক সময় মেয়েদের পরিচয় করিয়ে দিতে ‘মেয়েমানুষ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মানুষ হিসেবে পরিচয় করানো হয় না। আমরা বুঝে না বুঝে সবাই ভাষার মাধ্যমে নারীকে হেয় করি। এর পরিবর্তন আনতে নারীর নিজেকেই প্রথমে একজন মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে।”

আলোচনায় অংশ নিয়ে নারীনেত্রী খুশি কবির বলেন, “কর্মক্ষেত্রে নারীদের সব সময় প্রমাণ করতে হয় যে তারাও পারে। শব্দকে তৈরি করা হয় নারীর বিরুদ্ধে। শব্দকে লিঙ্গভিত্তিক করা হয়। শব্দকে নারী-পুরুষে বিভেদ করা যাবে না। কোনও শব্দের আলাদাভাবে মূল্যায়ন বন্ধ করতে হবে।’’

Bootstrap Image Preview