Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সংসদে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন শেখ তন্ময়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৬:৫৪ PM
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৬:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম নিতে গিয়ে সংসদে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন শেখ হেলাল উদ্দীনের ছেলে ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়।

বুধাবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিলে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। এসময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।

শেখ তন্ময় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ বছর কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে ছিলেন। তিনি কোনো মহাদার্শনিক ছিলেন না, মহাপণ্ডিতও ছিলেন না। কিন্তু মহাদার্শনিক ও পণ্ডিতরাও যা করতে পারেননি তিনি তা করেছিলেন। যার প্রমাণ ৭ মার্চের ভাষণ। যা ইউনোস্কো থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। এসময় তিনি ১৫ আগস্ট কাল রাতে নিহতদের নাম নেয়ার সময় আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। তাদের নাম নিতেও পারছিলেন না তন্ময়।

এসময় তিনি স্পিকারের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় স্পিকার আমাকে ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি আবেগে আক্রান্ত।

এর পর তিনি বলেন, আমাদের এ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক আর কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় বলে আসা হয়, অনেকে অনেক জ্ঞানবুদ্ধি দিয়ে থাকে টক শোতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে যখন তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ঘটতে যাচ্ছে সেই সময় ১ কোটি লোক মাদকে জড়িত। মাদকে আসক্ত হয়ে আছে তারা। যারা মাদকের ব্যবসা করে তাদেরকে কোনোভাবেই নরমভাবে দেখলে হবে না। যারা সেবনকারী তারা তো আমাদেরই ভাই-বোন। আমাদের ইশতাহার অনুযায়ী মাদকসেবীদের সাধারণ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে। জাপান বাংলাদেশে থেকে তরুণ নিতে আগ্রহী। কিন্তু ৫ কোটি তরুণের মধ্যে যদি ১ কোটি তরুণ মাদকাসক্ত হয় সেখানে আমাদের একটা এ ব্যাপারে পলিসি দরকার, মাস্টারপ্ল্যান দরকার এবং আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন। আমরা আশা করি আমাদের সকলকে নিয়েই যেন এই মাস্টারপ্ল্যানটা করা হয়। আমরা এতে কাজ করতে চাই।

Bootstrap Image Preview