রাজধানীর খামারবাড়ি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ৩০ বাস জব্দ করে রেখেছিল ক্ষুব্ধ তিন কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্টুডেন্ট ভাড়া না নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে গলা ধরে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ায় হঠাৎ করেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তারা।
আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা ৪৫ পর্যন্ত ৩০ বাস আটক করে শিক্ষার্থীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম চলে। এতে একটি গাড়ির সামনের দিকের কয়েকটা গ্লাস ভাংচুর করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আটকের কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের একটি দল। আহাদ নামের পুলিশের এক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন। কথার এক পর্যায়ে বলেন, তোমাদের এত সাহস কোথা থেকে আসল। তোমাদের দেখে নেব। এ সময় দায়িত্বরত এক পুলিশকে তিনি ভিডিও ধারণ করতে বলেন। পরে শিক্ষার্থীদের ভিডিও ধারণ করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা কিছুটা ভীত হয়ে আটককৃত গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। পরে ছাত্রদের গ্রুপ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
আটককৃত গাড়িগুলোর চালকেরা বলেন, হাফ ভাড়া তো আমাদের হাতে না। আপনারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা তো নিরুপায়। আমরা কি করতে পারি। মালিক যা বলে আমরা তা করি।
জানা যায়, রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের মিদুল নামের এক শিক্ষার্থীকে বিকাশ বাস থেকে গলা ধরে নামানো হলে ঐ কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় তেজগাঁও কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিজয় সরণি থেকে ঢাকা কলেজ ও আজিমপুর অভিমুখের ভিআইপি ২৭, বিকাশসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির গাড়িগুলো আটক করে।
বিজ্ঞান কলেজের ছাত্ররা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে লাব্বাইক ও এম লাব্বি কোম্পানির ৩টি বাস একই অপরাধে কলেজ প্রাঙ্গণে আটকানো হয়। পরে স্টুডেন্ট ভাড়া নেবে বলে মুচলেকায় সই দিয়ে বাস নিয়ে যায়। এখন আবারও সেই অপরাধ করছে।