Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘পাটশাকের প্রেসক্রিপশন’দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৪:৩৮ PM
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৪:৩৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কৃষি ও রপ্তানিপণ্য হিসেবে পাটকে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় পাটপাতার উপকারিতা তুলে ধরে ‘প্রেসক্রিপশন’ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভালো সবজিগুলোর মধ্যে একটি পাটের পাতা। আমরা পাটশাক খাই। এর নানা উপকারিতা রয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পাট দিবসে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।৬-৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেষে তিনি পাট মেলার উদ্বোধন করেন।

পাটশাকের উপকারিতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটশাক খেলে পেট ভালো থাকে। পাটশাকে আয়রন বেশি, ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি ও জ্বর থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগের প্রতিষেধক পাটপাতা। এখন অবশ্য পাটের পাতা থেকে চা উৎপাদন করা হয়েছে। এটা (চা) শরীরের জন্য খুব ভালো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের পাতায় সার হয়। পাট চাষের পরে যে ধান লাগানো হয় সে ধান কিন্তু ভালো হয়। পাটের পাতা থেকে হারবাল মেডিসিন ও প্রশাধনী সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। সুতরাং পাটের পাতার গুণের শেষ নেই।

ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলায় আমরা পাটখড়ির মাথায় পচা গাছের আঠা লাগিয়ে ফড়িং ধরতাম। এছাড়া পাটখড়ি ছোট ছোট টুকরা করে একসঙ্গে ফেলে আরেকটা কাঠি দিয়ে তুলে নিতাম। এখনকার ছেলে-মেয়েরা তো সেসব খেলে না।

তিনি বলেন, পাটের কোনো কিছুই ফেলনা নয়। পাটকাঠি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পাটখড়ি এখন চারকোল (কার্বন পাউডার) হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ঘরের বেড়া তৈরিতে পাট ব্যবহার হয়। পাটখড়ি থেকে হাডবোর্ড হচ্ছে। তা দিয়ে দরজা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‌‘সব সময় এটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি যে পাটকে আমরা আরও কীভাবে কাজে লাগাতে পারি। ইতিমধ্যে আপনারা জানেন যে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ আমরা পাস করেছি। এমন একটি পণ্য যার কিছুই ফেলা যায় না, সেটা কেন লোকসান হবে। আমরা লোকসান শুনতে চাই না। লাভজনক কীভাবে করা যায়, কীভাবে করতে হবে সেটা দেখতে হবে।’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে থিম সঙ প্রচার করা হয়। এরপর পাটের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি।

অনুষ্ঠানেপাট উৎপাদন, বিক্রয়, বাজারজাতকরণ, পাট পণ্য তৈরি, পাট বীজ সরবরাহ ও বাজারজাতকরণসহ পাট ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করেন। এবারে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, জাতির পিতার বাংলাদেশ’।

Bootstrap Image Preview