Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে দেশে রেলপথ যত উন্নত সে দেশ তত উন্নত: রেলমন্ত্রী

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৪:২৫ PM
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৪:২৫ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু রেল-সংযোগ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন সুবিধার চেক প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যে দেশে রেলপথ যত উন্নত সে দেশ তত বেশি উন্নত।

বুধবার (৬ মার্চ) মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা র্ডপ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রেলমন্ত্রী মো: নূরুল ইসলাম সুজন ১০ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মাঝে পুনর্বাসন সুবিধার চেক প্রদান করেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে রেলের ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে রেলব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিলে। মানুষকে বেকার করে দিয়েছিলো তারা।

এই রেল লাইন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কি.মি হবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। মুন্সীগঞ্জে ৬৭১ জন ক্ষতিগ্রস্তকে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আজ ১৭৫ জনকে চেক দেওয়া হয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় রেলসংযোগর উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে। পদ্মাসেতু বাস্তাবায়ন হলে দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ ও রেলপরিকল্পনা বাস্তাবায়নের মাধ্যমে ১ শতাংশ যুক্ত হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০ কিংবা ৪০ সাল নয়, ডেলটা পরিকল্পনার মাধ্যমে ১শ' বছর পরের বাংলাদেশকে আমরা কোন পর্যায় দেখতে চাই তার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ এ কে এম সারওয়ার জাহান বাদশা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো: রফিকুল আলম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিএসসির তত্ত্বাবধানে র্ডপ পিবিআরএলপি পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা হতে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের প্রকল্পে ৮২.৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫৪৮ পরিবার রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৩৫৮.৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তরা ১৯৮২ সালে ভূমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় ইতপূর্বে জেলা প্রশাসক থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

Bootstrap Image Preview