ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদায় এক বিধবাকে ধর্ষণ করেছে এক ব্যক্তি। এরপর ধর্ষিতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। কিন্তু ধর্ষিতা জীবনের দিকে না তাকিয়ে ধর্ষককে শক্ত করে টেনে ধরে রাখেন। এতে আগুনে পুড়ে মারা গেছে ওই ধর্ষক। অন্যদিকে ধর্ষিতার মুখ ও হাত পুড়ে গেছে। তাকে এখন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।
ওই নারীর অভিযোগ, মাঝে মাঝেই ধর্ষক তাকে বিরক্ত করতো।
সূত্র থেকে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। এ সময় তার বাড়ি প্রবেশ করে ওই ধর্ষক এবং তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি এ সময় শক্ত করে ধরে রাখেন ধর্ষককে। ধোয়া দেখে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে ছুটে যান।
তারা একটি রুমের ভিতর গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় দেখতে পান দু’জনকেই। আগুন নিভিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু সেখান থেকে তাদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে মঙ্গলবার সকালে মারা যায় ওই ধর্ষক।
ধর্ষিতা মানিকচাক পুলিশ স্টেশনের অধীনে সুভাষ কলোনিতে বসবাস করেন। তার রয়েছে তিনটি মেয়ে। তার বাড়িতে কেন গিয়েছিল কথিত ধর্ষক তা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধর্ষিতার বাসা ওই পুরুষের বাড়ি ছনচাল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্ত ধর্ষক ওই নারীর বাড়িতে মাঝে মাঝেই যেতো।