অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১১ দিন পর মেরামত কাজ শেষে আবারো যাত্রী নিয়ে আকাশে উড়তে যাচ্ছে ছিনতায়ের শিকার হওয়া বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সবচাইতে উন্নত বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ময়ূরপঙ্খী বিমানটি।
আজ মঙ্গলবার(৫ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শাকিল মেরাজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার পর এয়ারক্রাফটি কিছু মেরামতের কাজের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি নিয়ে ৭ মার্চ থেকে এটি স্বাভাবিক অপারেশনে ফিরছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ওই উড়োজাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর আকাশে ছিনতাইয়ের শিকার হয়। পরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাইলটের দক্ষতায় অবতরণের পর যাত্রীসহ পাইলট ও কেবিন ক্রুরা বেরিয়ে আসলে পরে কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী যুবক পলাশ আহমেদ।
পরবর্তীতে জানা যায়, পলাশ একটি খেলনার পিস্তল দিয়ে হুমকি দেখিয়ে বিমানটি ছিনতায়ের চেষ্টা করেছিল। তার সঙ্গে ‘বিস্ফোরক সদৃশ’ কিছু ভুয়া বস্তুও ছিল।
ওই ছিনতায়ের ঘটনা থেকে বিমানটি কমান্ডো বাহিনীর দ্বারা উদ্ধার করার সময় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল পরে তা মেরামত কাজের জন্য পাঠানো হয় এবং তা মার্চের ৭ তারিখ যাত্রী পরিবহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
সেদিন উড়োজাহাজটিতে গুলি লেগেছিল কি না- প্রশ্ন করা হলে শাকিল মেরাজ বলেন, “পুরো ঘটনাটির তদন্ত চলছে। এই নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।”
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার বহরের এই বোয়িং উড়োজাহাজটি এখন কোন রুটে চলবে এই মর্মে তথ্য জানতে চাওয়া হলেও, তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ঘটনাটি বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শাস্তি সরূপ ছিনতাইয়ের এই ঘটনায় নিরাপত্তার বিষয়ে অবহেলার জন্য নিমানবন্দরে কর্মরত বেবিচকের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং তিনজন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা সহ বিমানবাহিনীর এক সার্জেন্টকে প্রত্যাহার করার তথ্য জানতে পারা গেছে।