Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মরণরোগ এইডস ‘মুক্ত’ হয়ে নজির গড়লেন দ্বিতীয় ব্যক্তি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০১৯, ০৭:০৩ PM
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯, ০৭:০৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


প্রাণঘাতী হিউম্যান ইমিউনো ডিফিসিয়েন্সি (এইচআইভি) ভাইরাসে আক্রান্ত যুক্তরাজ্যের এক ব্যক্তির এইডসের ভাইরাস এইচআইভিমুক্ত করা গেছে। যিনি মরণরোগ এইডসমুক্ত হওয়া মানুষদের মধ্যে দ্বিতীয়। আর তার এই কাজটি করা হয়েছে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে। যার ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঘটলো আরো একটি যুগান্তকারী ঘটনা।

প্রায় ১৮ মাস ধরে চিকিৎসার পর এই ভাইরাস মু্ক্ত হওয়া রোগীর নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তিনি লন্ডন রোগী নামেই পরিচিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রোগীর ‘উপশম’ হয়েছে তবে তিনি সুস্থ হয়ে গেছেন- এটা এখনও বলার সময় আসেনি বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। তবে একদিন পুরোপুরি তারা এ ক্ষেত্রে সফল হবেন বলে আশা করছেন।

লন্ডন রোগীর এইডস চিকিৎসায় যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন, ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘ন্যাচার’ এ-সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। ওই নিবন্ধটি মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের চিকিৎসাবিষয়ক এক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। তবে সঙ্গত কারণে রোগীর নাম-পরিচয়, বয়স ও জাতীয়তা গোপন রাখা হয়েছে। তার নাম দেয়া হয়েছে ‘লন্ডন প্যাসেন্ট’ অর্থাৎ লন্ডনের রোগী।

প্রকাশিত নিবন্ধ অনুযায়ী বেশকিছু বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, লন্ডন প্যাসেন্ট নামের ওই রোগী এইডসের ভাইরাল ইফেক্শন থেকে এখন মুক্ত। তাদের এমন পদ্ধতি বিশ্বে ৩ কোটি ৭০ লাখ এইডস আক্রান্ত রোগীর ওপর প্রভাব ফেলবে। এমন সাফল্য মানুষকে এইডস নির্মূলে আশাবাদী করে তুলবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এইডস নির্মূলে প্রথম যে সাফল্যাটি এসেছিল তাও আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে। প্রথম যে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে এইএচআইভি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল তার নাম দেয়া হয়েছিল ‘বার্লিন প্যাসেন্ট।’ তাকেও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এইডস ভাইরাসমুক্ত করা হয়েছিল।

চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্তা। তিনি রোগীর শরীর থেকে এইচআইভি ভাইরাস নির্মূলের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে দ্বিতীয় একজনকে এইচআইভি থেকে উপশম করা সম্ভব হয়।’

তিনি বলেন, ‘তবে এ সাফল্যের মানে এই নয় যে, এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বিজ্ঞানীরা একদিন এইডস নির্মূল করতে পারবেন।’

অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্তা বলেন, ‘আমি ও আমার সহকর্মীরা ওই ব্যক্তির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না যে তিনি সুস্থ হয়ে গেছেন। ২০০৭ সালে যে রোগীর শরীর থেকে এইচআইভি নির্মূল করা হয়েছিল তিনি এখন ভাইরাসমুক্ত।’

এর আগে জার্মানির বার্লিনে টিমোথি ব্রাউন নামের এক মার্কিন নাগরিকের দেহ একই প্রক্রিয়ায় এইডস ভাইরাসমুক্ত করা হয়। ২০০৭ সালে এইডস মুক্ত হওয়া মার্কিন ওই রোগীকে বলা হয় ‘বার্লিন রোগী’।

Bootstrap Image Preview