গাজীপুরের কালীগঞ্জে হাফিজুল ইসলামের (৪২) বিরুদ্ধে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বাদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপরে মামলার প্রেক্ষিতে ধর্ষককে গাজীপুর আদালতে এবং শিশু ওই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলার শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণ, আটক, মামলা ও ডাক্তারী পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুবকর মিয়া।
ধর্ষক হাফিজুল উপজেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ড মধ্য বালীগাঁও গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন চৌকিদারের ছেলে। সে পেশায় মাহেন্দ্র চালক। আর ধর্ষিতা ওই শিশু শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যায়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রতিবেশি হাফিজুল্লাহ তাকে প্রায় সময়ই উত্যক্ত করতো। গত রবিবার বিকেলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় হাফিজুল্লাহ।
পরে ওই শিশু ধর্ষণের বিষয়টি তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জানায়। এতে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে সোমবার (৫ মার্চ) বিকেলে ওই ধর্ষক হাফিজুল্লাহকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়ার পর থানায় খবর দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল আলম জানান, সোমবার রাতে এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষককে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।