Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বালাকোটে হামলার সময় সক্রিয় ছিল ৩০০ মোবাইল!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০১৯, ১০:৩৯ AM
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯, ১০:৩৯ AM

bdmorning Image Preview


কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানে বিরাজ করছিল তুমুল উত্তেজনা। এ ঘটনার পর পাকিস্তানকে সময় মতো সমুচিত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেখেছিল ভারত। অন্যদিকে, আক্রান্ত হলে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকেও নয়া দিল্লিকে দেখে নেওয়ার পাল্টা হুমকি আসছিল।

এসব হুমকির মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। হামলায় প্রায় ৩০০ 'জঙ্গি' প্রাণ হারায় বলে জানা যায়।

তবে ভারতের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত বালাকোটে বিমান হামলায় ঠিক কতজন জইশ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখেল শুধু বলেছিলেন, ‘অনেক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে জইশের বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডারও রয়েছেন।'

কিন্তু পররাষ্ট্র সচিবের বিবৃতির অনেক আগে থেকেই ভারতের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা থেকে শুরু করে টেলিভিশন চ্যানেল সেনা থেকে শুরু করে ভারত সরকারের বিভিন্ন সূত্রকে উদ্ধৃত করে মৃতের সংখ্যা ২৫০ থেকে ৩০০ দাবি করে।

কিন্তু তারপরেও বিমান বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল আর কে এম কপূর মৃতের সংখ্যা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি। সোমবার বিমান বাহিনীর প্রধান বীরেন্দ্র সিংহ ধনোয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মৃতের সংখ্যা গোনা বিমান বাহিনীর কাজ নয়।

এরই মধ্যে সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য, সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এনটিআরও বিমান হানার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বালাকোটের ওই জইশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩০০টি সক্রিয় মোবাইল সংযোগের হদিশ পেয়েছিল। সেখান থেকেই গোয়েন্দারা মনে করছেন বিমান হানার সময় ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কমপক্ষে ৩০০ জন জইশ জঙ্গি উপস্থিত ছিল।

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ যারা জইশ বা লস্করের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তারা ওই যুক্তি মানতে নারাজ। কারণ তারা দাবি করেছেন, জিহাদি প্রশিক্ষণের সময় কোন শিক্ষার্থীকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।

Bootstrap Image Preview