Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ শনিবার, মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আবারও যুদ্ধবিমানে বসবেন সেই অভিনন্দন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৮ AM
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৮ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিমানবাহিনীর প্রধান মার্শাল বি এস ধানোয়া বলেছেন, অভিনন্দনের আকাশে ওড়া নির্ভর করছে তার শারীরিক সক্ষমতার উপর। তার শারীরিক সক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া গেলেই তিনি আবারও যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসতে পারবেন।

এদিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কোনও পাইলট অন্য দেশের সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়লে সাধারণত তাকে আর যুদ্ধবিমানে ফেরানো হয় না। কিন্তু ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু ঘটার সম্ভাবনাই বেশি।

অভিনন্দনের সঙ্গে কথা বলে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তাকে প্রথম ২৪ ঘণ্টা ঘুমাতে দেওয়া হয়নি। তীব্র আলোর সঙ্গে জোরে গানবাজনা চালিয়ে রেখে তাকে জাগিয়ে রাখা হয়েছে।

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, এর একটাই উদ্দেশ্য ছিল। অভিনন্দনকে মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল করে দিয়ে তার কাছ থেকে কথা আদায় করা। একে শারীরিক অত্যাচারের পর্যায়ে ফেলা না গেলেও অবশ্যই এটা মানসিক চাপ তৈরি করার কৌশল। যে কোনও গোয়েন্দা বা তদন্তকারী সংস্থাই এ ধরনের কৌশল নিয়ে থাকে। পাকিস্তানও একই কৌশল অবলম্বণ করেছে।

অভিনন্দন নিজেই শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত ককপিটে ফিরতে চান। কিন্তু শুধু শারীরিক নয়, বরং অভিনন্দনের মানসিক ধকল কাটিয়ে ওঠাও জরুরি বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। তার পাঁজরের সঙ্গে মেরুদণ্ডেও আঘাত রয়েছে।

মিগ-২১ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার ফলে শরীরে আঘাত পেয়েছেন তিনি। বিমানবাহিনীর প্রধানের মতে, যুদ্ধবিমানের চালকের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেয়া হয় না। পাইলটের মেরুদণ্ডের চোট পুরোপুরি সেরে ওঠা জরুরি।

Bootstrap Image Preview