‘অতীতে বেগম খালেদা জিয়া অসৌজন্যতা দেখালেও, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে এসে সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই।’ এমন মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার(৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক ও পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর স্মরণে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত শোকসভায় বক্তব্যের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের অন্যতমক মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অবস্থায় দেখতে যান। এ সৌজন্যতা ও সহমর্মিতার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমানের মৃত্যুসংবাদে সেইসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে খালেদা জিয়ার কাছে গেলে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পরও দরজা খোলা হয়নি। খালেদা জিয়া সৌজন্যতা রক্ষা করেননি। সৌজন্যতা দেখাতে খালেদা জিয়া ব্যর্থ হলেও, বিএনপির সিনিয়রা সৌজন্যতা ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন।’
এর আগে বক্তব্যে সদ্যপ্রয়াত মো. শাহ আলমগীরকে তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন ও প্রয়াতের আত্মার শান্তিকামনা করেন তথ্যমন্ত্রী। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু জাফর সূর্যের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন— প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিশিষ্ট সাংবাদিক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।
এর পরই তথ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দ্রুত সুস্থতার জন্য বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সহসভাপতি রুহুল আমিন রুহুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেয়।