চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রী তহমিনা খাতুনকে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্বামী আকাশ ওরফে মিঠুকে (৩৪) মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো: জিয়া হায়দার।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে এক আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত আকাশ ওরফে মিঠু জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের কুঠিপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে।
মামলা সূত্র জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোহাম্মদজুম্মা গ্রামে স্ত্রী তহমিনা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে স্বামী আকাশ। ঘটনার পরদিন নিহতের পিতা সবেদ আলী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় জামায় আকাশ ওরফে মিঠুর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন যৌতুকের টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্বামী আকাশ ওরফে মিঠু।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পরিদন পুলিশ আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রাম থেকে আকাশ ওরফে মিঠুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্ত আকাশ ওরফে মিঠুর নামে একই বছরের ১০ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় মোট ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী ১১(ক) ধারায় আকাশকে দোষী করে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিহতের মা জাহানার বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার মেয়ে তহমিনাকে নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো মিঠু। যৌতুক না পেয়ে বিয়ের ৬ মাসের মাথায় আমার মেয়েকে জবাই করে হত্যা করে মিঠু। আদালতের রায়ে জাহানারা খাতুন ও তার পরিবার খুশি বলে জানান তিনি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ও আসামি পক্ষে পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দীন খাঁন ও অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার।