প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত। এই মর্মে পাকিস্তানের সংসদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী। তবে পাক প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমি নোবেল পাওয়ার মত উপযুক্ত হিসেবে মনে করি না।
সোমবার (৩ মার্চ) ইমরান খান টুইটারে জানান, আমি নোবেল পাওয়ার যোগ্য না।
এই টুইটারে ইমরান খান লিখেছেন, সেই ব্যক্তিটি নোবেল পাওয়ার যোগ্য যে কাশ্মীরের জনগণের মতের ভিত্তিতে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করবে এবং অঞ্চলটির মধ্যে শান্তি ও মানব উন্নয়নের পথ তৈরি করবে।
কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানের সীমানা ভেদ করে ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের দাবি হামলায় অন্তত ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে ভারতের এমন দাবি প্রত্যাখান করে পাকিস্তান।
এর জবাবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। এদিনেই ভারতের দুইটি বিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান, আটক করে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে।
শান্তির বার্তা দিতে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে গত বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর শুক্রবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে অভিনন্দনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে পাকিস্তান।
এমন ভূমিকার জন্য পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ইমরান খানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার জোরালো দাবি জানান। তারা সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ইমরান খানকে নোবেল দেয়ার দাবি করেন।
এছাড়া ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মধ্যে ইমরান খানের এমন পদক্ষেপ দেশে বাইরে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।